ঈদের ছুটিটা এ বার একটু বাড়তি আনন্দই আনতে চলেছে রবিউলদের কাছে। ক্রিকেট পাগল রবিউল বুধবার রাতটা শুধু জেগেই কাটাননি, নেচে-গেয়ে উত্সব করে কাটিয়েছে রাজপথে। তার আগে অবশ্য চট্টগ্রামের স্টেডিয়ামে পুরো ৬৬ ওভার নিরন্তর দেশের পতাকা উড়িয়েছে বছর বাইশের যুবক। এবং সাক্ষী থেকেছে ইতিহাসের।
তবে রবিউল একা নয়। এ রকম হাজার হাজার রবিউল রাস্তায় উত্সব করে কাটিয়েছে বুধবারের ঐতিহাসিক রাতটা। ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই প্রথম সিরিজ জিতল যে বংলাদেশ। ঈদের ছুটি এ বারে একটু কম হওয়ায় একটু যেন মুষড়ে ছিল বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জিতে সেই দুঃখের ভাব যেন নিমেষে উধাও। পুরস্কার মঞ্চ থেকেই অবশ্য উত্সবের ছুটি এক দিন বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবদার করেছে মাশরফিরা। সূত্রের খবর, ক্রিকেট পাগল হাসিনার তা মেনে মেনে নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
সিরিজ জয়ের পর কেমন ছিল রাতের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের চেহারা? কোচ হাতুরাসিংহে প্রায় কথাই বলতে পারলেন না। “আমার কাছে তিনটি সিরিজ জয়ের গুরুত্বই একই”— বলার পরেই তুমুল চিতকারে চাপা পড়ে গেল জাতীয় কোচের কণ্ঠস্বর। ভক্তদের সেলফি-ভিড়ে হারিয়ে গেলেন কামব্যাক ইনিংস খেলা তামিম ইকবাল। একই অবস্থা সাকিব-মোর্তাজা-সৌম্যদের। সৌম্য সরকারের ব্যাটিং নিয়ে উচ্ছ্বসিত খোদ হাতুরাসিংহেও। ম্যান অব দ্য সিরিজ সৌম্যকে ভবিষ্যতের সুপারস্টার বললেন তিনি।
ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পাশাপাশি বুধবার আরও কয়েকটি রেকর্ডের সাক্ষী থাকল চট্টগ্রাম। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসাবে দু’শো উইকেটের ক্লাবে ঢুকে পড়লেন সাকিব অল হাসান এবং অধিনায়ক মাশরফি মোর্তাজা। এমনিতে বাংলাদেশের হয়ে ব্যাটে-বলে অবশ্য অনেক রেকর্ডই আছে সাকিবের। বুধবার ২০০ উইকেট নিয়ে ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের আরেকটি অভিজাত ক্লাবেরও সদস্য হয়েছেন। ৪০০০ রান ও ২০০ উইকেটের ‘ডাবল’ ওয়ানডেতে ছিল শুধু ছ’জন ক্রিকেটারের। সাকিব একটা দিক থেকে অবশ্য হারিয়ে দিয়েছেন পূর্বসূরিদের। সবচেয়ে কম ১৫৬ ম্যাচ খেলে এই ডাবল হলো তাঁর।