ছবি:সংগৃহীত
এজবাস্টনে বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে যেতেই উল্লাস শুরু হয়ে গেল বাংলাদেশ জুড়ে। এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনাশ মানে তো বাংলাদেশেরই পৌষ মাস। শেষ পর্যন্ত তাই হল। শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অসাধারণ জয়ই বাংলাদেশকে এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বড় সাফল্য এনে দিল। গ্রুপ ‘এ’-র দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারে উঠল তারা। এ বার সেমিফাইনালে তাদের বিরুদ্ধে যে দলই নামুক, নিউজিল্যান্ড ম্যাচের চেয়েও ভাল খেলতে চান মাশরফি মোর্তাজারা।
শুক্রবার রাতে যখন সোফিয়া গার্ডেনে বাউন্ডারিতে জয় আসে বাংলাদেশের, তার আগে থেকেই উৎসব শুরু হয়ে যায় সারা দেশে। শনিবারও ছিল আর এক প্রস্ত উৎসবের পালা। সেমিফাইনালে ওঠার সেলিব্রেশন যেন আগের দিন থেকেই শুরু করে দেন সে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝরে পড়তে শুরু করে একের পর এক পোস্ট, বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যানের ঐতিহাসিক সাফল্যের প্রশংসা লাইনে লাইনে।
সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর ২২৪ রানের পার্টনারশিপই বাংলাদেশের এই জয়ের ভিত। ম্যাচের পর অধিনায়ক মাশরফি বলেন, ‘‘এই ম্যাচে জয়টা আমাদের কাছে বড় ব্যাপার। সেমিফাইনালে উঠলে এর চেয়েও ভাল ক্রিকেট খেলব আমরা।’’ অবশেষে সেমিফাইনালে উঠেও পড়লেন তাঁরা।
তামিম ইকবাল, সাকিব, মাহমুদরাই যে দলের ব্যাটিংয়ের প্রধান স্তম্ভ, তা স্বীকার করে নিয়ে মাশরফি বলেন, ‘‘গত তিন বছর ধরে আমরা এই জায়গায় আসার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এত দিনে অপেক্ষা শেষ হল মনে হচ্ছে। তবে আরও উঁচুতে উঠব আমরা।’’
মাশরফিদের এই অসাধারণ জয়ে শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা ক্রিকেট দুনিয়া প্রশংসায় মুখর। কুমার সঙ্গকারা থেকে শাহিদ আফ্রিদি, মাইকেল ভন, ইয়ান বিশপ, স্কট স্টাইরিসরা সবাই একের পর এক টুইট করে বাংলাদেশীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। মাইকেল ভন বলেছেন, ‘‘এর চেয়ে ভাল ওয়ান ডে পার্টনারশিপ আর কখনও দেখেছি বলে তো মনে পড়ছে না।’’ বিশপ লেখেন, ‘‘৩৩-৪ থেকে বাংলাদেশের এই জয় অসাধারণ। তিন দিনে, তিন ম্যাচে টুর্নামেন্টের তিন ফেভারিট ছিটকে গেল। গ্রেট টুর্নামেন্ট।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy