Advertisement
০৩ মে ২০২৪

গোলাপি বলের অতিরিক্ত সুইং এবং বাউন্স নিয়ে ভয় মেহদিদের

লাল বলের মতো হাতেই তৈরি করা হয় গোলাপি বল। কোকাবুরা গোলাপি বল যদিও যন্ত্রের সাহায্যে বানানো হয়। কিন্তু বল সুইং ও অতিরিক্ত বাউন্স করার কারণ কী?

গোলপী বলে প্র্যাকটিসে আবু জায়েদ ও এবাদত হোসেন।—ছবি এএফপি

গোলপী বলে প্র্যাকটিসে আবু জায়েদ ও এবাদত হোসেন।—ছবি এএফপি

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত
ইনদওর শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:২২
Share: Save:

ভারতীয় দলের অনুশীলনে রবিবার যে ছবি দেখা গিয়েছিল, সোমবার বাংলাদেশ অনুশীলনেও তা আরও এক বার ফিরে এল। এসজি গোলাপি বলের সুইং ও বাউন্স সামলাতে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। মোমিনুল হকেরাও একই সমস্যায় পড়লেন। মায়াঙ্ক আগরওয়ালদের বিরুদ্ধে যে এবাদত হোসেনকে নিষ্প্রভ মনে হয়েছিল, সোমবারের অনুশীলনে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন সব চেয়ে ভয়ঙ্কর। অধিনায়ককে একাধিক বার পরাস্ত করলেন। সমস্যায় ফেললেন মুশফিকুর রহিমকেও।

তাঁর বোলিং দেখেই আন্দাজ করা যায়, এসজি গোলাপি বল একজন পেসারকে কতটা বিপজ্জনক করে দিতে পারে। সঙ্গে মুস্তাফিজ়ুর রহমানের সুইং ও কাটার বড় পরীক্ষায় ফেলতে পারে ভারতকে। অনুশীলন শেষে মেহদি হাসান মিরাজ বলে দিলেন, ‘‘গোলাপি বলে ব্যাট করে মনে হল সুইং ও বাউন্সের পরিমাণ বেশি। কখনও কখনও ‘কাট’ (সিমের সাহায্যে নড়াচড়া) করছে। লাল বলের তুলনায় অনেক দ্রুত গতিতে ব্যাটে আসছে এই বল। শুরুর দিকে সতর্ক থেকে খেলতে হবে।’’কেন এসজি গোলাপি বলের সুইং ও বাউন্স বেশি? কোন বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করে কি এই বল তৈরি করা হয়? খোঁজ করল আনন্দবাজার। এসজি-র জনৈক আধিকারিক বলছিলেন, ‘‘সে রকম কোনও বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহৃত হয় না। তবে লাল বল বানাতে যে চামড়া ব্যবহার হয়, গোলাপি বলের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন করা হয়।’’ কী রকম? ‘‘লাল বল তৈরি হয় লাল চামড়া দিয়ে। কিন্তু গোলাপি চামড়া পাওয়া যায় না। অন্য রংয়ের চামড়ার উপরে প্রথমেই কিছুটা রং করে দেওয়া হয়।’’

লাল বলের মতো হাতেই তৈরি করা হয় গোলাপি বল। কোকাবুরা গোলাপি বল যদিও যন্ত্রের সাহায্যে বানানো হয়। কিন্তু বল সুইং ও অতিরিক্ত বাউন্স করার কারণ কী? তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘লাল বলের চেয়ে এই বলের সিম (সেলাই) বেশি পোক্ত ও চওড়া। বল হাতে বোনার পরে ফের র‌ং ও বিশেষ ধাতুর স্তর (ল্যাকার) দিয়ে গোলাপি করে তোলা হয়। বল শুকিয়ে যাওয়ার পরে পালিশের জন্য পড়ে আলাদা স্তর।’’ যোগ করেন, ‘‘বল পুরনো হতে অনেক বেশি সময় লাগে। নতুন বলে সুইং পাওয়া গেলেও পুরনো বলে রিভার্স সুইং পাওয়া কঠিন। তবে সিম ও অতিরিক্ত রংয়ের স্তর থাকায়, সাধারণ লাল বলের চেয়ে কিছুটা গতি ও বাউন্স বেশি থাকে এই বলের।’’

আরও পড়ুন: শরীর ঠিক আছে, রোজ জানাতে বলা হচ্ছে স্মিথদের

মেহদি জানালেন, স্পিনারদের বলও বেশি বাউন্স করছে। বললেন, ‘‘সাধারণের তুলনায় ডেলিভারি একটু যেন বেশি লাফাচ্ছিল (বাউন্স)। সিমে পড়লে বেশি ঘুরছেও। তবে শিশিরে ভিজলে বল অবশ্যই হাত থেকে পিছলে যেতে পারে। তখন সুইং হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে।’’

আরও পড়ুন: প্রবল চাপেও ইগরের মুখে জেতার মন্ত্রই

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE