Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Manchester City beat Barcelona

কাজে লাগল না মেসির গোল, সিটির কাছে হার বার্সার

মঙ্গলবার ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচ লেখা থাকল সিটির নামে। ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিট বার্সেলোনার হলে বাকি ৬০ মিনিট এনরিকের রক্ষণকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করল গুয়ার্দিওয়ালার ছেলেরা। সেই আক্রমণে খেলা থেকেই হারিয়ে গেলেন মেসি, নেইমার, সুয়ারেজ, বুস্কেটসরা।

ম্যানচেস্টার সিটির জয়ের উল্লাস

ম্যানচেস্টার সিটির জয়ের উল্লাস

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:৪২
Share: Save:

ম্যানচেস্টার সিটি ৩ (গুনদোগান-২, ব্রুয়েন)

বার্সেলোনা ১ (মেসি)

মঙ্গলবার ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচ লেখা থাকল সিটির নামে।

ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিট বার্সেলোনার হলে বাকি ৬০ মিনিট এনরিকের রক্ষণকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করল গুয়ার্দিওয়ালার ছেলেরা। সেই আক্রমণে খেলা থেকেই হারিয়ে গেলেন মেসি, নেইমার, সুয়ারেজ, বুস্কেটসরা।

প্রথমার্ধের শেষ ১০ মিনিট যেখানে শেষ করেছিল ঠিক সেখান থেকেই দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে ম্যানচেস্টার সিটি। ৪৮ মিনিটে স্টার্লিংয়ের নিশ্চিত গোল নষ্টের ঠিক তিন মিনিটের মধ্যেই ব্যবধান বাড়ায় সিটি। ডি ব্রুয়েনের অসাধারণ ফ্রি কিক বার্সা ওয়ালের মাথার উপর দিয়ে যখন বাঁক খেয়ে দ্বিতীয় পোস্টের কোনা দিয়ে গোলের দরজা প্রায় খুলেই ফেলেছে, তখনই শেষ একটা চেষ্টা করেছিলেন বার্সা গোলকিপার। কিন্তু কাজে লাগেনি। তাঁর আঙুলের ডগা ছুঁয়েই বল চলে যায় গোলে। এগিয়ে যায় সিটি। এর পরের পুরো ম্যাচটাই সিটিময়। মাঝে ৬৫ মিনিটে সমতায় ফেরার নিশ্চিত সুযোগ ক্রসবারে লেগে ফেরে বার্সেলোনার। সুয়ারেজের সাজিয়ে দেওয়া বলে গোমেজের শট গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হয়। আর তার পরই সিটির হয়ে শেষ কাজটি করে যান সেই গুনদোগান। সেখানেই শেষ হয়ে যায় বার্সার সব আশা। ড্র করলেই পরের পর্ব নিশ্চিত হয়ে যেত বার্সার। কিন্তু হেরে ন’পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে যেতে হল। ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এল ম্যানচেস্টার সিটি।

শুরুটা যে ভাবে করেছিল টিম মেসি তা দেখে মনে হচ্ছিল ঘরের মাঠে গুয়ার্দিওয়ালার ছেলেরা না নাস্তানাবুদ হয়ে হারে। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ ১০ মিনিট সেই আগুয়েরো, ফার্নান্দো, ডেভিড সিলভারাই ঝড় তুললেন বার্সা বক্সে। যার ফল প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময় শেষের বাঁশি বাজার ছ’মিনিট আগে সমতায় ফেরে হোম টিম। ঝিমিয়ে থাকা ইত্তিহাদ স্টেডিয়াম যেন প্রাণ ফিরে পেল ঠিক সেই মুহূর্তেই। রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকা গুয়ার্দিওয়ালার হতাশ মুখে হাসির রেখাও দেখা গেল। উচ্ছ্বাসে ভাসতে দেখা গেল ৩-১এ এগিয়ে যাওয়ার পর। আর উল্টোদিকে, প্রথমার্ধের শুরুতে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করা লুই এনরিকে ডুব দিলেন হতাশায়। প্রথমার্ধের শেষে বার্সা রক্ষণকে প্রায় বোকা বানিয়েই সিটিকে সমতায় ফেরালেন ইকে গুনদোগান।

শুরুটা করে দিয়েছিলেন সেই মেসিই। আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা মেসির পা থেকেই এল প্রথম গোল। খেলার গতির বিপক্ষেই গোলের মুখ খুলল নেইমার-মেসি জুটি। আক্রমণে তখন মেসির জাতীয় দলের সতীর্থ আগুয়েরো। বার্সার গোল লক্ষ্য করে শটও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মাসচেরানো সেই শট গোলে পৌঁছতে দেননি। নিজেদের বক্স থেকেই শুরু বার্সার আক্রমণ। মাসচেরানোর আটকে দেওয়া বল প্রায় মাঝমাঠ থেকে নিয়েই দৌঁড় শুরু করেছিলেন নেইমার। জায়গা পরিবর্তন করে ততক্ষণে মাঝমাঠ দৌঁড় থেকে শুরু করেন মেসিও। ম্যান সিটি বক্সের ঠিক বাঁদিক থেকেই মেসিকে লক্ষ্য করে বল রেখেছিলেন নেইমার। সিটি ডিফেন্ডারদের মাঝখান দিয়ে বল সোজা জমা হয় মেসির পায়ে। বাঁ পায়ে বল ধরে কয়েক সেকেন্ড যেন হেলায় বল কন্ট্রোলে মন দেন। ততক্ষণে গোল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন সিটি গোলকিপার কাবালেরো। যেন এটাই চাইছিলেন মেসি। বেরিয়ে আসা গোলকিপারের পাস দিয়েই ঠান্ডা মাথায় বাঁ পায়ের টোকায় বল পাঠান সিটির গোলে।


দুই কোচ লুই এনরিকে ও গুয়ার্দিওয়ালা।

২১ মিনিটে হজম করা গোলের পাল্টা আসে ৩৯ মিনিটে। আগুয়েরো থেকে স্টার্লিংয়ের পা হয়ে বল পৌঁছেছিল গুনদোগানের কাছে। যেন প্লেটে করে সাজিয়ে ছোট্ট ক্রস রেখেছিলেন স্টার্লিং। ভুল করেননি গুনদোগান। পরের মুহূর্তেই আবার সুযোগ চলে এসেছিল ম্যান সিটির সামনে। কিন্তু অল্পের জন্য সেই সুযোগ নষ্ট করেন ফার্নান্দো। শুরু থেকেই গোলের সামনে ছটফট করছিলেন স্টার্লিং। ম্যাচ শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যেই প্রায় পেনাল্টি পেয়ে গিয়েছিল সিটি। যদিও রেফারি দেননি। দিলেও কিছু বলার থাকত না। দ্বিতীয়ার্ধেও পেনাল্টির দাবি ওঠে। যদিও সিটির জিততে তার আর প্রয়োজন হয়নি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্য ম্যাচে এদিন লেওয়ানোডস্কির জোড়া গোলে বায়ার্ন মিউনিখ ২-১ গোলে হারিয়ে দিল পিএসভিকে। আর্সেনাল ৩-২ গোলে হারাল লুডোগোরেটসকে। বরুসিয়া-সেল্টিক ম্যাচ শেষ হল ১-১ গোলে। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ১-১ গোলে আটকে দিল রোস্তোভ।

ছবি: টুইটার

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE