ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর এজেন্ট জানিয়ে দিচ্ছেন, খুব শীঘ্রই হয়তো রিয়াল মাদ্রিদ কেরিয়ারে ইতি ঘটতে পারে তাঁর।
নেইমার স্বীকার করে নিচ্ছেন, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের খবরটা পুরোপুরি গুজব ছিল না।
দলবদলের বাজার এ বারের মতো শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মহাতারকা হওয়া মানে সারা বছরই তাঁদের নিয়ে জল্পনা থেকেই যায়। রাফায়েল বেনিতেজ কোচ হয়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর থেকেই যেমন শোনা যাচ্ছে, ক্লাবে রোনাল্ডোর সময় নাকি মোটেও আর ভাল যাচ্ছে না। দুটো ম্যাচে আট গোল করলেও শেষ দুই ম্যাচে তাঁর ফর্ম খারাপ। আবার প্রাক্ মরসুমে নানা ঘটনায় ধরা পড়েছিল যে, নতুন কোচ বেনিতেজের সঙ্গে খুব একটা ভাল সম্পর্ক তাঁর নেই।
এ বার সেই খারাপ সম্পর্কের জেরেই হয়তো রিয়ালের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটতে পারে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। আর রোনাল্ডো-ট্রফি নিতে বক্সিং রিংয়ে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর নাম প্যারিস সাঁ জাঁ ও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড।
যে লড়াইয়ের রাউন্ড ওয়ানে কিন্তু প্যারিস একটু হলেও এগিয়ে রয়েছে। রোনাল্ডোর পুরনো ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার যেখানে আবেগকে হাতিয়ার করেছে, প্যারিস দিচ্ছে টাকা। তাও যে সে অর্থ নয়, একশো মিলিয়ন পাউন্ডের উপর খরচ করতেও রাজি ফরাসি ক্লাব। স্প্যানিশ প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সঙ্গে আলাদা করেই নাকি বৈঠকে বসেছিলেন সাঁ জাঁ মালিক। রিয়াল মালিক কিছু দিন আগেই বলেছিলেন রোনাল্ডোকে নিতে হলে এক বিলিয়ন দিতে হবে। কিন্তু সিআর সেভেনের তারকা এজেন্ট জর্জ মেন্ডেস রিয়ালের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছেন, যদি দাম কম করা যায়।
রোনাল্ডো যুদ্ধে এখনও অনেক দূর যেতে হলেও, নেইমারকে প্রায় সই করেই ফেলেছিল ম্যাঞ্চেস্টার। ব্রাজিলীয় ‘ওয়ান্ডার কিড’ নিজেই স্বীকার করে বলে দিলেন, ‘‘হ্যাঁ, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে কথা হয়েছিল। কিন্তু বেশি দূর এগোয়নি সেটা। শুনেছি ওরা প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে সরাসরি আমার সঙ্গে ওদের কোনও কথা হয়নি।’’
বার্সা মহাতারকার এই স্বীকারোক্তির পরে ধোঁয়াশা গোটা ফুটবলবিশ্বে। কারও কারও বিশ্বাস, আবার দলবদলের বাজার খুললে হয়তো ফের নেইমারের জন্য বড় প্রস্তাব দেবে ম্যাঞ্চেস্টার। বর্তমানে নেইমারের সবচেয়ে বড় সমর্থকের নামও লুই ফান গল। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড কোচ কিছু দিন আগেই বলেছিলেন, ‘‘অ্যাশলি ইয়ং খুব ভাল ফুটবলার। কিন্তু ও নেইমার না। নেইমারের মতোই কোনও ফুটবলার চাই।’’ নেইমারকে ছাড়া হবে না, বার্সেলোনার তরফে সেটা বলা হলেও এখনও নতুন চুক্তি দেওয়া হয়নি তাঁকে।
এর মধ্যেই আবার নেইমার নিয়ে নতুন বিতর্ক আছড়ে পড়ল ফুটবল-বিশ্বে। ২০১১ থেকে ২০১৩-র মধ্যে কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য নেইমারের প্রায় ৩১৪ কোটির সম্পত্তি ফ্রিজ করল ব্রাজিলের একটি আদালত। দু’বছর আগে স্যান্টোস থেকে তাঁর বার্সেলোনায় ট্রান্সফারের আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্নও এখনও মেটেনি। দ্রুত কর আদায়ের রাস্তা হিসেবেই নেইমারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy