উষ্ণ চুম্বন। ড্রেসিংরুমে সনি-বোয়া। ছবি: ফেসবুক
বেলো রজ্জাক বলে দিলেন, ‘‘বাগান তেরো বছর পর সফল। আমি চোদ্দো বছর পর নিজেকে প্রমাণ করতে পারলাম।’’
টিম হোটেলের চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে কাতসুমি, বোয়া, বলবন্তরা। কাতসুমির এজেন্ট হাজির নতুন বছরের চুক্তি করতে। কিন্তু বেলোর সঙ্গে এখনও কথা বলেননি কেউই। অথচ তিনি-ই এ দিনের ম্যাচের সেরা। শুধু তাই নয় প্রয়াত জার্নেল সিংহের নামাঙ্কিত দেশের সেরা রক্ষণের পুরস্কারও তো পেয়েছেন। টিমে তাঁকে সবাই ‘দাদু’ বলে। বেশি বয়েসের জন্য। নাইজিরিয়ান ফুটবলার সেটা ঊপভোগই করেন। ‘‘আমার যে কী আনন্দ হচ্ছে! এই ঐতিহাসিক মুহর্তটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমার গোলে কোটি কোটি লোক আনন্দ পাচ্ছে সেটাই তো বিরাট ব্যাপার।’’
বাগান হোটেলে রাতেই শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসব। কেকটা আনাই ছিল। কাটা হল, থ্রি চিয়ার্স ফর বাগান বলে। একটা শ্যাম্পেনের বোতলও খোলা হল। ছড়িয়ে দেওয়া হল। তখনই এল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন, শুভেচ্ছা জানিয়ে। হচ্ছিল একের পর পুরস্কারের ঘোষণা। সহ- সচিব সৃঞ্জয় বসু ঘোষণা করে দিলেন, পাঁচ লাখ টাকা দেবেন টিমকে। মাঠে কোচ ও গোলদাতাকে সোনার হার আর আংটি দিয়েছিলেন কোষাধ্যক্ষ মদন দত্ত। কর্মসমিতির সদস্য মহেশ টেকরিওয়াল দিলেন এক লাখ টাকা।
বেলোকে আটকানোর চেষ্টায় বেঙ্গালুরু।-নিজস্ব চিত্র
কিন্তু শ্যাম্পেন-কেক কাটা শেষ হতেই নিজের ঘরে ছুঁটলেন সনি নর্ডি। মা-কে ফোন করতে। বলেই দিলেন, ‘‘ভারতে এসেছিলাম ক্লাবকে ট্রফি দিতে। সেটা পাওয়ার পর মনে হচ্ছে মা-কে সবার আগে জানাই। গ্রেট ফিলিংস। বোঝাতে পারব না অনুভূতিটা। উপভোগ করতে দিন।’’ পরের বার তিনি নতুন চুলের স্টাইল নিয়ে আবার খেলবেন বাগানে। চুক্তিও হয়ে গিয়েছে। ‘‘নতুন ক্লাবে প্রথম ট্রফি জয়টা সব সময়ই অন্য মাত্রা পায়।’’ দৌড়ে চলে গেলেন তিনি। কিন্তু পিয়ের বোয়া? তিনি হয়তো পরের বার থাকবেন না বাগানে। কিন্তু তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা ফুটবলারের যায় আসে না। ‘‘অনেক ক্লাবে খেলেছি। এখানে এসে একটা সাফল্য চেয়েছিলাম। চেয়েছিলাম উইকিপিডিয়ায় লেখা হোক ভারতের এক নম্বর টুর্নামেন্ট জেতার কথা। এটা কারও একার জয় নয়। জয় একটা টিমের,’’ বলছিলেন বোয়া। কোনও দিন কথা বলেন না কাতসুমি। ইংরেজি জানেন না বলে এড়িয়ে যান সবাইকে। আজ মুখর। ‘‘এত দিন এ দেশে খেলছি। আমি কখনও এই ট্রফিটা জিতিনি। অসাধারণ ঘটনা আমার জীবনে।’’
আর অধিনায়ক শিল্টন পাল? বাগান অধিনায়ক বলে দিলেন, ‘‘আমার অধিনায়ক হওয়া সার্থক।’’ সনিদের জন্য সবথেকে বড় শুভেচ্ছা এল রাতে। বাগানের কর্মসমিতির সদস্য সঞ্জয় ঘোষকে ইস্টবেঙ্গলের মাঠ সচিব মেসেজ করে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানালেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy