প্রথম দুই ম্যাচে মণিপুর ও মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোলের বন্যা বইয়ে দিয়েছিল বাংলা। সন্তোষ ট্রফির প্রথম দুই ম্যাচেই আট গোল করে ফেলেছিলেন বিদ্যাসাগর সিংহ, সুমিত দাস-রা।
কিন্তু গঙ্গা পেরিয়ে হাওড়া স্টেডিয়াম থেকে মোহনবাগান মাঠে নামতেই বাংলার সেই দাপুটে পারফরম্যান্স উধাও। রবিবার চণ্ডীগড়-এর বিরুদ্ধে রঞ্জন চৌধুরী-র দল জিতল ১-০। প্রথমার্ধের ১৮ মিনিটে রাইট ব্যাক অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ানো বল ধরেন বিদ্যাসাগর সিংহ। ইনসাই়ড কাট করে বাঁ পায়ে গোলমুখী শট নিয়েছিলেন তিনি। সেই বল চণ্ডীগড় অধিনায়ক রাহুলের পায়ে লেগে দিক বদলে গোলে ঢুকে যায়। যদিও রেফারি গোল দেন বিদ্যাসাগর-কে। টানা তিন ম্যাচ জেতায়, গ্রুপ লিগে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সন্তোষ ট্রফির সেমিফাইনালে চলে গেল বাংলা।
প্রথম দুই ম্যাচে মাটিতে বল রেখে পাস খেলার জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন বাংলার ফুটবলাররা। কিন্তু এ দিন গোটা দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে রক্ষণ থেকে বল তুলে (লং বল) খেলতে দেখা গিয়েছে বাংলাকে। ম্যাচের একদম অন্তিম লগ্নে নিখিল পরাশর-এর হেড বারে লেগে না ফিরলে চের ফল অন্য রকম হতে পারত।
এ দিন খেলা দেখতে মাঠে এসেছিলেন মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলছেন, ‘‘আগে গোল পেয়ে হয়তো আত্মতুষ্ট হয়ে পড়েছিল ছেলেরা। তবে অসমান মাঠও ভোগাল ওদের।’’
ম্যাচের পর বাংলার ফুটবলারদেরও দেখা যায়, মোহনবাগান মাঠের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করতে। অসুস্থতার কারণে দলের অধিনায়ক জিতেন মুর্মু না থাকায় এ দিন বাংলাকে নেতৃত্ব দেন মিডফিল্ডার তীর্থঙ্কর সরকার। সেই তীর্থঙ্করও খেলা শেষে বলছিলেন, ‘‘শক্ত মাঠ। তার উপর অনেক জায়গা অসমান। খেলতে অসুবিধা হচ্ছিল। তাই দ্বিতীয়ার্ধে বল তুলে খেলছিলাম আমরা।’’ বাংলা কোচ রঞ্জন চৌধুরীও বলছেন, ‘‘মাঠ অসমান থাকায় সমস্যা হচ্ছিল।’’
মাঠে খেলা দেখতে এসেছিলেন আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়। ফুটবলারদের ক্ষোভ শুনে তিনি বলে যান, ‘‘মোহনবাগান মাঠ নরম করতে জল দেওয়া হবে। অসমান জায়গা সমান করতে সোমবার রোলার চলবে।’’
অন্য দিকে এ দিন কেরল ৩-০ হারায় মহারাষ্ট্রকে। ফলে বাংলা ও কেরল দুই দলের পয়েন্ট নয়। তবে গোল পার্থক্যে এগিয়ে কেরল। মঙ্গলবার বাংলার প্রতিপক্ষ কেরল। বাংলার কোচ বলছেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য সব ম্যাচ জিতে সেরা হওয়া। গ্রুপে সেরা হলাম কি না সেটা নিয়ে ভাবছি না।’’
বাংলা: রঞ্জিত মজুমদার, কৃষ্ণ বিশ্বাস, প্রসেনজিৎ পাল, তন্ময় ঘোষ, বাবুন দাস, মনতোষ চাকলাদার (নবি হুসেন খান), বিদ্যাসাগর সিংহ, তীর্থঙ্কর সরকার (সঞ্চয়ন সমাদ্দার), সুমিত দাস (সুজয় দত্ত), রাজন বর্মন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy