ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা বোলাররা সামলে দিলেন। আর এই বোলিং ধাক্কাতেই বাংলার কাছে কাত মুম্বই। পাঁচ-দশ নয়, ৯৬ রানে জিতল বাংলা। শুক্রবার, বিজয় হাজারে ট্রফিতে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে এমন দাপুটে জয় বাংলা সম্প্রতি পায়নি।
ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরনের ১৫২ বলে তোলা ১২৭ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলা মুম্বইকে জেতার জন্য ২৩১ রানের টার্গেট দিয়েছিল। সেই লক্ষ্যপূরণে নেমে মুম্বই ১৩৪ রানেই শেষ। প্রজ্ঞান ওঝা ও সায়ন ঘোষ তিনটে করে উইকেট নেন। অশোক ডিন্ডার জোড়া উইকেট। টানা চার ম্যাচে জিতে বাংলা কার্যত নক আউটে জায়গা করে নিল।
মুম্বইয়ের ব্যাটসম্যানরা শুরু থেকেই এ দিন চাপে ছিলেন। কণিষ্ক শেঠ ও অশোক ডিন্ডাদের দাপটে দশ রানের মধ্যে তিন ব্যাটসম্যান ফিরে যান। শ্রেয়শ আইয়ার ও অধিনায়ক আদিত্য তারে ৫৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করলেও তাঁদের জুটি ভেঙে দেন প্রজ্ঞান ওঝা। দু’জনেরই উইকেট তুলে নেন প্রজ্ঞান। এর পর মুম্বইকে আর কোনও বড় পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে দেননি বঙ্গ বোলাররা। সিদ্ধেশ লাড (২৩) মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ফিরিয়ে দেন আমির গনি।
এ দিন চেন্নাই থেকে ফোনে প্রজ্ঞান বলেন, ‘‘আমরা সবাই আজ খুব ভাল বল করেছি। যে রকম প্ল্যান করেছিলাম, সেই প্ল্যান অনুযায়ী নিখুঁত বোলিং করেছি। উইকেটটা আমাদের কিছুটা সাহায্য করেছে। তবে আমরাও ঠিক জায়গায় সমানে বল রেখে গিয়েছি। যার ফলে ওদের ব্যাটসম্যানরা সব সময় চাপে ছিল।’’ সায়ন ঘোষ তিন টেল এন্ডারকে ফেরানোর দায়িত্ব নেন।
তবে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্তের যথার্থতা এ দিন প্রমাণ করতে পারত না বাংলা, যদি না অভিমন্যু ঈশ্বরনের সেঞ্চুরি হত। তাঁর ইনিংস ছাড়া বাংলার ব্যাটিংয়ে আর বলার কিছুই নেই। ১২৭ করার পর অভিমন্যু এ দিন চেন্নাই থেকে ফোনে বলেন, ‘‘চাপ না নিয়ে নিজের বেসিক ঠিক রেখে ব্যাট করে গিয়েছি। কোচ, ক্যাপ্টেন সেই পরামর্শই দিয়েছিলেন। দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে তাই ভাল লাগছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy