উল্লাস: প্লে-অফে উঠে সুরজিৎ, লিরা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
বঙ্গযোদ্ধাদের অন্যতম মালিক অক্ষয়কুমার শেষ পর্যন্ত আসতে পারেননি ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকায়। উল্টোদিকে প্রো-কবাডি লিগে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের প্রতিপক্ষ পটনা পাইরেটস সমর্থকদের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির ছিলেন ‘গরম মশালা’ ছবিতে অক্ষয়ের বিপরীতে অভিনয় করা নীতু চন্দ্রা।
বলিউড অভিনেত্রী নীতু দর্শকাসনে বসে তাঁর দল পটনার জন্য প্রবল সমর্থন করে গেলেন গোটা ম্যাচ। কিন্তু তাতেও জয় পেল না পটনা পাইরেটস। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বঙ্গযোদ্ধারা হারালেন পটনাকে। ম্যাচের ফল ৩৯-২৩। এ বারের প্রো-কবাডি লিগে এর আগে দু’বার মুখোমুখি হয়েছিল বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স বনাম পটনা পাইরেটস। কিন্তু সেই দুই ম্যাচেই জিতেছিল পটনার দলটি। কিন্তু ঘরের মাঠে বড় ব্যবধানে পটনাকে হারিয়ে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স শুধু বদলাই নিল তা নয়। একই সঙ্গে কলকাতা পর্বে টানা দুই ম্যাচ জিতে পেয়ে গেল প্লে-অফের টিকিট।
১৮ ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে ‘জোন বি’-র দ্বিতীয় স্থানে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স। অন্য দিকে ২১ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রইল পটনা। দুর্দান্ত ম্যাচ জেতার পরে বঙ্গযোদ্ধাদের কোচ উচ্ছ্বসিত জগদীশ কুম্বলে বলেই গেলেন, ‘‘এ বারের প্রতিযোগিতার সেরা ম্যাচ খেললাম আমরা। এর আগে যে দু’বার পটনার বিরুদ্ধে খেলেছি, তার মধ্যে এক বার তো এক তরফা হেরেছিলৈাম। অপরটায় লড়াই করে হারতে হয়। কিন্তু আজ আমরা ওদের দাঁড়াতেই দিইনি।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘আজ আমাদের রণনীতি ছিল ওরা আক্রমণ জোরদার করলে আমরা ম্যাচের ছন্দ ভেঙে খেলাটাকে ধীর গতির করে দেব। যেই চাল ওরা বুঝতে পারেনি। একই সঙ্গে আমাদের ট্যাকল আজ খুব ভাল হয়েছে। তার ফল পেলাম। তবে প্লে অফে উঠেই আমাদের লক্ষ্য শেষ নয়। বাকি রয়েছে আরও চার ম্যাচ। সেই চার ম্যাচ জিতেই আমরা গ্রুপ সেরা হয়ে প্লে অফে যেতে চাই।’’
আসলে এ দিন বঙ্গযোদ্ধাদের আক্রমণ ও রক্ষণ দুই বিভাগই পাল্লা দিয়ে খেলেছে। ৩৯ পয়েন্টের মধ্যে সুরজিৎ সিংহের দল আক্রমণ থেকে তুলে আনে ১৯ পয়েন্ট। যার মধ্যে ১১ পয়েন্টই মনিন্দর সিংহের। ম্যাচের সেরাও তিনি। আর বিপক্ষকে ট্যাকল করে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স ডিফেন্ডাররা তুলে আনেন ১৫ পয়েন্ট। যার মধ্যে চার পয়েন্ট এনেছেন অধিনায়ক সুরজিৎ। বিরতিতে ম্যাচের ফল ছিল ১৮-১১।
বঙ্গয়োদ্ধাদের কোচ জগদীশ কুম্বলে বলছেন, ‘‘রবিবার দাবাং দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচ। সেই ম্যাচও জিততে হবে। ঘরের মাঠে কাউকে ভয় পাই না আমরা।’’ দিনের অন্য ম্যাচে ইউপি যোদ্ধা ৩৪-৩২ পয়েন্টে হারাল ইউ মুম্বাকে। শীতের রাতে এই দুই ম্যাচই উপভোগ করেন স্টেডিয়ামে হাজির দর্শকরা। এরই মাঝে স্কুলে শুরু হয়েছে কবাডি জুনিয়র্স প্রতিয়োগিতা। এ দিন দক্ষিণ কলকাতার খালসা স্কুলে গিয়েছিলেন বঙ্গযোদ্ধাদের অমরেশ মণ্ডল। তিনি পরামর্শ দেন
খুদে খেলোয়াড়দের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy