অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের সময় নিরাপত্তার জন্য যে ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিশ, আই লিগের ম্যাচে সেই ব্যবস্থাই চাইছে বিধাননগর কমিশনারেট। আর সেই চাওয়ার তালিকা হাতে পেয়ে মাথায় হাত দুই প্রধানের কর্তাদেরই। কারণ এতে তাঁদের বাড়তি খরচ হবে লাখ লাখ টাকা। এমনিতেই দুই প্রধানের কোনও মূল স্পনসর নেই এ বার। টিম গড়তেই নাভিশ্বাস অবস্থা। এই অবস্থায় বাড়তি লাখ লাখ টাকা কীভাবে জোগাড় হবে তা ভেবে মাথায় হাত কর্তাদের।
ম্যাচ সংগঠনের দিন কী কী চাইছে পুলিশ? (১) ১২০টি মেটাল ডিটেক্টর গেট (২) হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর ৫০টি (৩) প্রত্যেক গেটে টিকিট পরীক্ষার জন্য বড় বড় তাঁবু (৪) ভিভিআইপি গেট ও মিডিয়া গেটের জন্য স্ক্যানার (৫)গ্যালারির তিনশো সাদা পুলিশের জন্য ফ্লুরোসেন্ট বিপ (৬) কাদাপাড়া থেকে রিং রোড ও স্টেডিয়ামের সব জায়গায় পথ নির্দেশের বোর্ড (৭) সব গেটেই ব্যারিকেড (৮) রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের লোকজনকে রাখার ব্যবস্থা (৯) দর্শকদের নিরাপত্তার জন্য একাধিক অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা (১০) পুলিশের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা।
এমনিতেই দুই প্রধানের মধ্যে কেউই স্পনসর জোগাড় করতে পারেনি। সহযোগী স্পনসর দিয়ে কাজ চলছে। এই অবস্থায় বিশ্বকাপের মতো পুলিশি ব্যবস্থার নির্দেশ পেয়ে রীতিমতো বিপদে ক্লাবকর্তারা।
আইএসএলের ক্লাব এটিকের কাছে যুবভারতীতে ম্যাচপ্রতি ১৬ লাখ টাকা নিলেও ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের কাছ থেকে নামমাত্র পনেরো হাজার টাকা করে নিচ্ছে রাজ্য সরকার। তবে দুই প্রধানকেই জমা রাখতে হবে পাঁচ লাখ টাকা করে। স্টেডিয়ামের কোনও ক্ষতি হলে ওই টাকা দিয়ে সারানো হবে। আই লিগের দুই প্রধানের জন্য রাজ্য সরকার উদার মনোভাব নিলেও পুলিশের এই নির্দেশে ক্লাব কর্তারা চিন্তায়। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, জিনিসপত্র পাওয়ার ব্যাপারে পুলিশ সব রকম সাহায্য করবে। পুলিশের নির্দেশ পাওয়ার পর হিসাব করতে বসেছেন দুই ক্লাবের কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘এ সব করতে হলে তো বারাসতে চলে যেতে হবে। এত টাকা পাব কোথায়?’’ পুলিশের সঙ্গে বুধবার অবশ্য ফের বৈঠকে বসছেন কর্তারা।
মোহনবাগানের চেয়ে ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা অবশ্য আরও ঘোরালো। পুলিশের চাপের চেয়ে লাল-হলুদ কর্তারা সমস্যায় প্রথম ম্যাচ সংগঠন নিয়েই। যুবভারতীর ঘাস যাতে ভাল থাকে, সে জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে একটি ম্যাচের পর দু’দিন মাঠে কোনও খেলা হবে না। কিন্তু ২৬ নভেম্বর আইএসএলের ম্যাচ রয়েছে এটিকের। আবার ২৮ নভেম্বর ইস্টবেঙ্গল বনাম আইজলের ধুন্ধুমার ম্যাচ রয়েছে আই লিগের। ইস্টবেঙ্গল চিঠি দিয়েছিল ফেডারেশনকে। ম্যাচ এক দিন পিছোনোর বা স্টেডিয়াম পরিবর্তনের জন্য। ফেডারেশন সোমবার চিঠি দিয়ে পাল্টা জানিয়েছে, সেটা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে আইজলকে ওয়াকওভার দিয়ে দেওয়া হবে। যা হাতে পেয়ে লাল-হলুদ কর্তারা রীতিমতো বিপর্যস্ত। ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, ‘‘এক দিকে পুলিশ, অন্য দিকে ফেডারেশনের অনড় মনোভাব। জানি না কী হবে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy