বিধ্বংসী: অভিষেক টেস্টে ছয় উইকেট বিলালের। গেটি ইমেজেস
নিরাপত্তা নেই বলে পাকিস্তানে যেতে রাজি হননি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। তাই দুবাইয়ে এসে টেস্ট সিরিজ খেলছেন। দুবাইয়ে মাঠের বাইরে নিরাপদ থাকলেও মাঠের মধ্যে যে এমন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন, তা বোধহয় ভাবতে পারেননি টিম পেন-রা।
জীবনের প্রথম টেস্টে নামা পাক অফস্পিনার বিলাল আসিফের তোলা ঘূর্ণিঝড়ে মাত্র ৬০ রানের মধ্যে দশ উইকেট হারিয়ে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়া। তাদের বাগে পেয়েও অবশ্য ফলো-অন করালেন না সরফরাজ আহমেদ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান দিনের শেষে ৪৫-৩। সরফরাজরা এগিয়ে ৩২৫ রানে।
ভারতের কাছে পরপর দু’বার হেরে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যাওয়া পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ৪৮২ রান তোলার পরে অস্ট্রেলিয়াকে ২০২ রানে অলআউট করে দিল। সৌজন্যে নবাগত বিলাল। ২১.৩ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ছ’উইকেট তুলে নেন তিনি। মরুশহরে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারদের অভাব বোধহয় ভালই টের পাচ্ছে অস্ট্রেলীয়রা।
সিয়ালকোটের অদূরে এক প্রত্যন্ত গ্রাম আলো মেহের শরিফ থেকে উঠে আসা ৩৩ বছর বয়সি স্পিনার বিলাল ভক্ত সাকলিন মুস্তাকের। ২০১৫-য় ওয়ান ডে অভিষেক হলেও টেস্ট দলে সুযোগ পেলেন এই প্রথম। পাকিস্তানের হয়ে ওয়ান ডে-ও খেলেছেন মাত্র তিনটি। দেশের হয়ে মাঠে নামার তেমন সুযোগই পাননি এত দিন। এ বার সুযোগ পেয়ে জ্বলে উঠলেন। তাঁর ঘূর্ণিতে কুপোকাত উসমান খোয়াজা (৮৫), শন মার্শ (৭), ট্রাভিস হেড (০), টিম পেন-দের (৭) মতো ব্যাটসম্যানেরা।
অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার খোয়াজা ও অ্যারন ফিঞ্চ (৬২) ১৪২ রানের পার্টনারশিপ গড়লেও এই জুটি ভেঙে যাওয়ার পরেই ধস নামে তাঁদের ব্যাটিংয়ে। পরের আট ব্যাটসম্যানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান মিচেল মার্শের, ১২। তিনি ছাড়া দুই অঙ্কের রানে পৌঁছন শুধু পিটার সিড্ল। বিলাল-আতঙ্কে ভোগা অন্য ব্যাটসম্যানরা কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারেননি। স্পিন সহায়ক উইকেট বলেই তিনি সফল, এ কথা বলার সময় অবশ্য এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে, পেসার মহম্মদ আব্বাস বাকি চার উইকেট নেন।
তবে দুবাইয়ের কাঠফাটা রোদে শুকিয়ে যাওয়া উইকেটে যে বল ঘুরতে শুরু করেছে, তা পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৫ রানের মধ্যে তিন উইকেট পড়ে যাওয়ায় আন্দাজ করা যাচ্ছে। নতুন বল নিয়ে বোলিং শুরু করা নাথান লায়ন একটি ও বাঁ হাতি স্পিনার জন হল্যান্ড দু’টি
উইকেট নিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy