Advertisement
E-Paper

বোর্ড প্রধানের শাস্ত্রীকে প্রশংসায় কীসের ইঙ্গিত

একরাশ পাইন গাছ, ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি আর শিলং পাহাড়কে পিছনে রেখে বুধবার বোর্ড প্রধান বলে দিলেন, ভারতীয় কোচ হিসেবে গত আঠারো মাসে রবি শাস্ত্রী খুব ভাল কাজ করেছেন।

গৌতম ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৬ ০৩:৩৯
দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলতে নেমে পড়লেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঠাকুর। বুধবার শিলংয়ে। ছবি: গৌতম ভট্টাচার্য

দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলতে নেমে পড়লেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঠাকুর। বুধবার শিলংয়ে। ছবি: গৌতম ভট্টাচার্য

একরাশ পাইন গাছ, ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি আর শিলং পাহাড়কে পিছনে রেখে বুধবার বোর্ড প্রধান বলে দিলেন, ভারতীয় কোচ হিসেবে গত আঠারো মাসে রবি শাস্ত্রী খুব ভাল কাজ করেছেন।

শিলংয়ের একমাত্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তখন একগুচ্ছ মিডিয়ার লোক। তাঁরা বেশ অবাকই হয়ে গেলেন এই ভেবে যে, নিজে থেকে যদি বোর্ড প্রেসিডেন্ট শাস্ত্রীর এত প্রশংসা করেন, তা হলে এত ঘটা করে তাঁর পরিবর্ত খোঁজা হচ্ছে কেন?

মাত্র তিন ঘণ্টার জন্য শৈলশহর ঘুরে যাওয়া অনুরাগ ঠাকুর এর পর এলেন শিলং ক্লাবে। সেখানে নব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে মেঘালয় ক্রিকেট সংস্থা তাঁকে সংবর্ধনা দিল। সেই অতিথি ভাষণেও সিনিয়র কোচ হিসেবে শাস্ত্রী, জুনিয়র কোচ হিসেবে দ্রাবিড়ের সুখ্যাতি করলেন।

এ দিনই ভারতীয় বোর্ড সিনিয়র টিমের কোচ হওয়ার জন্য দরখাস্তের ফর্ম মেলে আপলোড করেছে। সে দিনই বোর্ড প্রধানের মুখে এত স্তুতি। এই তো ক’দিন ধরে পন্টিং, ভেত্তোরি, দ্রাবিড় এত সব নাম উঠছে। কোনও কোনও বিদেশিকে ভেবে দেখতে বলা হয়েছে তাঁরা আগ্রহী হবেন কি না? যেখানে শাস্ত্রীর নাম বিবেচনাই না করে সঞ্জয় বাঙ্গারকে জিম্বাবোয়ে পাঠানো হচ্ছে সেই বাজারে এ দিনের পরিস্থিতি মনে হল মোড় ঘোরানো। এখন কি তা হলে কোচ নির্বাচনটা স্রেফ লোক দেখানো আর প্রথা মেনে স্বচ্ছতার সঙ্গে হবে? যাতে আদালত এবং লোঢা বলতে না পারেন, ভেতরে ভেতরে এরা নির্ঘাৎ অ্যাডজাস্টমেন্ট করেছে।

লোঢা মানে এই মুহূর্তে বোর্ডের দরবারে অবশ্য ঠকঠকানি আসা একটা বিশেষ দিন— ২৯ জুন। সে দিনই সুপ্রিম কোর্টে বোর্ড সংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত রায় বেরোবে। কেউ জানে না দেশের ক্রিকেট সেই দিনের পর কোন চেহারায় থাকবে? কী থাকবে?

এই ভূমিকায় কি শাস্ত্রীকে আবার দোখা যাবে?

লোঢা নিয়ে তিনি কি কম্পিত? এবিপি জিজ্ঞেস করলে অনুরাগ বলেন, ‘‘যেটা আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না সেটা নিয়ে ভেবে লাভ কী?’’ পরক্ষণেই আদালতের ওপর ফেটে পড়েছেন তিনি। ‘‘বিসিসিআই ভাল করলেও কেউ দেখে না। সারা দেশজুড়ে কী বিস্তৃত কর্মকাণ্ড আমাদের। কেউ এক বার মুখ ফুটেও বলে না।’’

বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র আট দিনের মধ্যে যে উত্তর-পূর্বাঞ্চল সফরে ঘুরে গেলেন অনুরাগ তা থেকেই পরিষ্কার ভারতীয় ক্রিকেটে এই অঞ্চল এখন কত সম্পদশালী। শিলংয়ে যেহেতু বৃষ্টি বেশি এবং ক্রিকেট পিচ আদ্ধেক সময়ই তৈরি রাখা যায় না, বোর্ড এখানে ইন্ডোর স্টেডিয়াম গড়বে ঘোষণা করল।

আগেকার বোর্ড প্রধানদের তুলনায় একচল্লিশ বছরের অনুরাগ অনেক সক্রিয়। ব্যাট দেখতে পেলেই নিজেকে সামলাতে পারেন না। বিজেপির কর্তাব্যক্তি এবং বোর্ড মিলিয়ে তাঁর যা ভ্রমণসূচি দেখলাম বিস্ফারিত হওয়ার মতো। এক দিন ডিমাপুর, পর দিন দিল্লি, তার পর দিন বিকানির। আবার নেক্সট ডে এডিনবরা। অনুরাগ বলছিলেন, ‘‘আমার মেয়াদ মাত্র সতেরো মাসের। কাজেই ভাই পূর্বসুরিদের মতো ঠুকঠাক করার বিলাসিতা নেই। আমাকে শুরু থেকে চালাতে‌ হবে এটা টি-টোয়েন্টি ভেবে।’’

Ravi Shastri Board President
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy