ফান জোন।
কিডস জোন।
কর্পোরেট ক্রিকেট।
বিনোদন মূলক নানা প্রতিযোগিতা।
ইডেনে ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ঘিরে সনাতনী ক্রিকেট এবং আধুনিক বিনোদনের ককটেল নিয়ে নানা কথাবার্তা শোনা যাচ্ছিল। সব কিছু ঠিকঠাক চললে, এ বার তার সঙ্গে আরও একটা ব্যাপার জুড়তে চলেছে।
পুজোর আবহে ইডেন টেস্টে হয়তো ফিরছে ইতিহাসও।
ইডেনে পঞ্চাশ বছর পর এই প্রথম ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্ট হচ্ছে। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে যা শুরু হবে। ইডেনে ভারত-নিউজিল্যান্ড শেষ টেস্ট হয়েছিল ১৯৬৫ সালে। এ বারের মতো সে বারও সেটা ছিল সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। যে যুদ্ধে ফলাফল হয়নি, কিন্তু সেই টেস্ট লোকে মনে রেখেছে বার্ট সাটক্লিফ এবং নবাব মনসুর আলি খান পটৌডির দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ের জন্য। দু’জনেই সেই টেস্টে দেড়শোর উপর রান করেন। সাটক্লিফ করেছিলেন অপরাজিত ১৫১। পটৌডি ১৫৩।
সাটক্লিফ বা পটৌডি— কেউই আজ বেঁচে নেই। কিন্তু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিএবি চাইছে, সেই দু’টো টিম থেকে এক জন করে ক্রিকেটারকে ইডেন টেস্টে আনতে। সোমবার সিএবিতে শীর্ষকর্তাদের বৈঠকে তা নিয়ে কথাও হয়। যদিও দু’টো টিম থেকে কে কে আসবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সিএবি থেকে বেরনোর সময় প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘‘ওই টিম থেকে একজন-একজন করে আমরা আনার কথা ভাবছি। কাকে আনা হবে, সেটা দু’একদিনের মধ্যে চূড়ান্ত করে ফেলব।’’
ইডেনে যে ঐতিহ্য নতুন নয়। বছর কয়েক আগে ইডেনে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচের সময় টেড ডেক্সটার এবং নরি কন্ট্রাক্টরকে এনেছিল সিএবি। এ বারও যদি সিএবি ’৬৫-র দু’টো টিমের কাউকে আনলে, টেস্ট আরও বর্ণময় হবে নিঃসন্দেহে। এমনিতেই লর্ডসের ধাঁচে নিউজিল্যান্ড টেস্টের আগেই ইডেনের ঘণ্টা বসে যাচ্ছে। শোনা গেল, অর্ডার নাকি চলে গিয়েছে। দিন কুড়ির মধ্যে তা এসেও যাওয়ার কথা। এমনও ভাবনাচিন্তা চলছে যে, ইডেন বেলের উদ্বোধন ’৬৫ টেস্টের দুই প্রাক্তনকে দিয়েই করানো যায় কি না।