Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
ইডেনের ১৫০ বছর

অস্টিনে সারদারঞ্জনের ট্যাবলো, ম্যাচে আনার চেষ্টা রাষ্ট্রপতিকে

ইডেন-ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখতে ফার্স্ট ডে কভার ও ডাক টিকিট প্রকাশ। সিএবি-র জীবিত প্রথম দেড়শো সদস্যকে ইডেনে বিশেষ সংবর্ধনা। বোর্ডের কাছে ইডেনে অক্টোবরের ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ান ডে-কে সিএবি-র নতুন ইতিহাসের প্রতি উৎসর্গ করার অনুরোধ। ভারতের রাষ্ট্রপতি বা সেনাপ্রধানকে ম্যাচের দিন হাজির করানোর প্রচেষ্টা। বাংলার সর্বপ্রথম ক্রিকেট-প্রসারকের জন্মভিটে থেকে ট্যাবলো। যা বহন করবেন বাংলার প্রাক্তন থেকে বর্তমান ক্রিকেটার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৪ ০২:৫২
Share: Save:

ইডেন-ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখতে ফার্স্ট ডে কভার ও ডাক টিকিট প্রকাশ।

সিএবি-র জীবিত প্রথম দেড়শো সদস্যকে ইডেনে বিশেষ সংবর্ধনা।

বোর্ডের কাছে ইডেনে অক্টোবরের ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ান ডে-কে সিএবি-র নতুন ইতিহাসের প্রতি উৎসর্গ করার অনুরোধ।

ভারতের রাষ্ট্রপতি বা সেনাপ্রধানকে ম্যাচের দিন হাজির করানোর প্রচেষ্টা।

বাংলার সর্বপ্রথম ক্রিকেট-প্রসারকের জন্মভিটে থেকে ট্যাবলো। যা বহন করবেন বাংলার প্রাক্তন থেকে বর্তমান ক্রিকেটার।

প্রেক্ষাপটে, ইডেনের দেড়শো বছর পূর্তি। বিশদে বললে, ইডেনে ক্রিকেটের দেড়শো বছরের। যাকে কেন্দ্র করে মাস দেড়েক ধরে একের পর এক উৎসবের বন্দোবস্ত করছে সিএবি।

বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক রাজু মুখোপাধ্যায় সম্পূর্ণ একটা বই লিখে ফেলেছেন ইডেনের ইতিহাস নিয়ে। যা মারফত সিএবি জানতে পেরেছে, ১৮৬৪ সালের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের কোনও একটা সময় ইডেনের জন্ম হয়েছিল, জন্ম হয়েছিল ইডেনে ক্রিকেটের। এ বছর যার দেড়শো বছর হচ্ছে। আর গৌরবের মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকেই পরপর অনুষ্ঠান শুরু করে দিচ্ছে সিএবি।

ঠিক হয়েছে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হবে রাজু মুখোপাধ্যায়ের বইয়ের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ দিয়ে। সিএবি প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া এবং নতুন যুগ্ম-সচিব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দিয়ে যা করানো হবে। সিএবি ইতিমধ্যেই বোর্ডের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ভারত-ওয়েস্ট যে ওয়ান ডে পড়বে, সেটা যেন দেওয়া হয় সিএবিকে। আর সেই ম্যাচ যেন উৎসর্গ করা হয় ইডেনে ক্রিকেটের দেড়শো বছরের পূর্তির প্রতি। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বা সেনপ্রধান দলবীর সিংহ সুহাগের মধ্যে কাউকে বিশেষ অতিথি করে আনা হবে। সিএবি-র কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে বলছিলেন, “পরিকল্পনা যা যা করার সিএবি সেটা করে ফেলেছে। ব্যাপারটা যাতে জমকালো ভাবে হয়, সেই চেষ্টা আমরা করব।” সবচেয়ে আকর্ষণীয় অবশ্য ট্যাবলয়েডের অনুষ্ঠান। বাংলা ক্রিকেটের জনক বা প্রসারক বলা হয় প্রোফেসর সারদারঞ্জন রায়কে। যাঁর হাত ধরে বাংলা ক্রিকেটের প্রসার এবং পরিচিতি। সিএবি চেষ্টা করছে, ঐতিহ্যবাহী অস্টিনে করে শহরে ট্যাবলো বার করার। যাতে পুরনো কলকাতার মেজাজটা ফেরানো যায়।

যা দাঁড়াচ্ছে, পুজোর আগেই ক্রিকেটপ্রেমীদের শুরু হয়ে যাচ্ছে অন্য পুজো।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE