—ফাইল চিত্র।
কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচে নামার আগে রঘু নন্দীর সব থেকে বড় উদ্বেগ বারাসতের কৃত্রিম ঘাসের মাঠ। ‘‘প্রায় চল্লিশ দিন অনুশীলন করেছি ঘাসের মাঠে। কিন্তু ম্যাচ খেলতে হবে অন্য মাঠে। ছেলেরা সব নতুন। এত তাড়াতাড়ি ওরা এটা মানিয়ে নিতে পারবে কি না, চিন্তায় আছি।’’ বলার সময় মহমেডানের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর রঘুর গলায় আশঙ্কা।
নিজেদের মাঠ লিগ খেলার জন্য তৈরিই করতে পারেনি কর্তারা। ফলে বারাসতে গিয়ে খেলতে হচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবকে। শনিবার সেই মাঠে অনুশীলনের পরে রঘু বললেন, ‘‘এরিয়ানের মতো দলকে কোচিং করিয়ে তিন প্রধানকে রুখে বা হারিয়ে অপরাজিত থাকার নজির আছে আমার। এত দিন ছোট দলের কোচিং করিয়ে বড় দলের পয়েন্ট কাড়াই থাকত লক্ষ্য। কিন্তু এ বার তো পুরো উল্টো। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথাই ভাবতে হচ্ছে। এটা আমার কাছে সত্যিই নতুন চ্যালেঞ্জ।’’ গত পঁচিশ বছরে ময়দানের প্রায় তিরিশটি দলকে কোচিং করিয়েছেন রঘু। ময়দানে তাঁর নামই হল, ‘ছোট দলের বড় কোচ’। এ বার সেই পোড় খাওয়া কোচই মহমেডানের মতো বড় দলের দায়িত্বে। তাই বিদেশিহীন অফিস দল এফ সি আইয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগেও রঘু বেশ চাপের মধ্যে রয়েছেন। ‘‘এত সমর্থকসমৃদ্ধ দলকে কখনও কোচিং করাইনি। চাপ তো থাকবেই। প্রথম ম্যাচটা তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’
জুয়েল রাজা, দীপেন্দু দুয়ারির মতো দু’একজন অভিজ্ঞ ফুটবলার ছাড়া এক ঝাঁক তরুণ ফুটবলার নিয়ে তৈরি এ বারের মহমেডান। তিন বিদেশির মধ্যে ল্যানসিন টোরে এবং বাজি আর্মান্ড পরিচিত মুখ। তবে নতুন আসা নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকার প্রিন্সউইল এমেকাকে সামনে রেখে ৪-৫-১ ছকে দল নামাবেন ঠিক করেছেন রঘু। বললেন, ‘‘প্রথম ম্যাচ তো, কোনও ঝুঁকি নেব না।’’
কিন্তু রঘু যাঁদের নিয়ে ভাবছেন সেই এফ সি আইয়ের হাল খুবই খারাপ। পুরোটাই বঙ্গ ব্রিগেড। কয়েক দিন আগে দীপক মণ্ডল এবং সুবোধ কুমারের মতো পরিচিত ফুটবলারকে নিয়েছে অফিস ক্লাবটি। দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর প্রাক্তন তারকা বিকাশ পাঁজির গলায় মাঠে নামার আগেই হতাশা। বললেন, ‘‘দু’তিন জন প্রাক্তন মিলে কোনওক্রমে দলটা চালাচ্ছি। কারও কোনও আগ্রহ নেই। কত বার অফিসকে বললাম, অন্তত দু’জন বিদেশি দিন। টাকা আমরা জোগাড় করব। সেটাও দিল না। দিলে একটা চ্যালেঞ্জ নেওয়া যেত।’’
রবিবার কলকাতা লিগে
মহমেডান: এফ সি আই (বারাসত ৪-৩০)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy