ফরাসি ওপেন ধরে রাখার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন কার্লোস আলকারাজ়। শুক্রবার ইটালির লোরেঞ্জো মুসেত্তি ম্যাচের মাঝেই খেলা ছেড়ে দেওয়ায় ফাইনালে উঠলেন আলকারাজ়। তখন ৪-৬, ৭-৬, ৬-০, ২-০ এগিয়ে ছিলেন আলকারাজ়। অর্থাৎ ম্যাচ তাঁর পকেটেই ছিল।
এ দিন ফিলিপে শঁতিয়ে কোর্টে দু’ঘণ্টা ২৫ মিনিটেই ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। তৃতীয় সেটে ০-৫ গেমে পিছিয়ে থাকার সময় মুসেত্তি কোর্টেই ফিজিয়োকে ডাকেন। বাঁ পায়ের উপরের অংশে শুশ্রুষা নেন। তার পরেও খেলা চালিয়ে যান। তৃতীয় সেটে কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি মুসেত্তি। আলকারাজ় একটিও গেম পেতে দেননি প্রতিপক্ষকে। চতুর্থ সেটেও অনায়াসে এগিয়ে যান। এর পরেই খেলা ছাড়তে বাধ্য হন মুসেত্তি।
তরুণতম খেলোয়াড়দের তালিকায় পঞ্চম হিসাবে ওপেন যুগে পাঁচটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠলেন আলকারাজ়। এখন যাঁরা খেলছেন, তাঁদের মধ্যে এই কৃতিত্ব আছে নোভাক জোকোভিচ এবং ড্যানিল মেদভেদেভের।
শুরু থেকেই আগ্রাসী টেনিস খেলে নিজের মনোভাব বুঝিয়ে দিতে থাকেন আলকারাজ়। বেসলাইন থেকে তাঁর শট বিপদে ফেলছিল মুসেত্তিকে। দুই প্রান্তকেও ভাল ভাবে ব্যবহার করেন স্পেনের খেলোয়াড়। তবু আলকারাজ়ের চাপ সামলে প্রথম সেট জিতে নেন মুসেত্তি। দ্বিতীয় সেটেও আলকারাজ়কে যথেষ্ট পাল্লা দিয়েছিলেন। সেট গড়ায় টাইব্রেকারে। সেটি আলকারাজ় জেতার পর মুসেত্তিকে আর দাঁড়াতে দেননি স্পেনীয় খেলোয়াড়।
ম্যাচের পর আলকারাজ় বলেছেন, “প্রথম দুটো সেট খুব কঠিন ছিল। আমার কাছে সুযোগ ছিল মুসেত্তির সার্ভিস ব্রেক করার। সব সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। দারুণ খেলছিল ও। দ্বিতীয় সেট জেতার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলাম। তৃতীয় সেটের শুরু থেকেই জানতাম কী করতে হবে।”
আরও পড়ুন:
এর আগে গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে উঠে প্রতি বারই জিতেছেন আলকারাজ়। রবিবার তিনি ফাইনালে খেলবেন ইয়ানিক সিনার বনাম নোভাক জোকোভিচ ম্যাচের বিজয়ীর বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ দেখার জন্য মুখিয়ে আলকারাজ়। বলেছেন, “কোনও ভাবেই ছাড়ব না। টেনিসে এই মুহূর্তে ওটাই সেরা ম্যাচ। সিনার বনাম জোকোভিচ, নিশ্চিত ভাবেই দারুণ খেলা হবে। টেনিসের সমর্থক হিসাবে ম্যাচটা দেখতে চাই এবং উপভোগ করতে চাই। নিজের কৌশলও ঠিক করে নেওয়া যাবে।”
তবে পুরো ম্যাচ না খেলে ফাইনালে ওঠায় খুশি নন আলকারাজ়। বলেছেন, “এ ভাবে জিততে কখনওই ভাল লাগে না। লোরেঞ্জো দারুণ খেলোয়াড়। সুরকির কোর্টে মরসুমটা দারুণ কেটেছে ওর। বিরল খেলোয়াড় হিসাবে সুরকির কোর্টে সব ক’টা বড় প্রতিযোগিতার অন্তত সেমিফাইনালে উঠেছে। মনে হয় চার জনের এই কৃতিত্ব রয়েছে। ওর জন্য শুভেচ্ছা রইল। চাই দ্রুত সেরে উঠুক।”