Advertisement
০১ মে ২০২৪
Sports News

কেভিন লোবোর দুরন্ত গোলে লিগ টপারের হার   

শুরু থেকেই ম্যাচের রাশ নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এই ম্যাচ ছিল কার্যত শেষ লড়াই। প্রথম থেকেই মাঝ মাঠকে দারুণভাবে সচল রেখেছিলেন কেভিন লোবো। সঙ্গে আল আমনার গোলমুখি আক্রমণ।

৪০ গজ দূর থেকে লোবোর শট ঢুকে যাচ্ছে গোলে। ছবি: ইস্টবেঙ্গল।

৪০ গজ দূর থেকে লোবোর শট ঢুকে যাচ্ছে গোলে। ছবি: ইস্টবেঙ্গল।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৭:৪১
Share: Save:

মিনার্ভা পঞ্জাব ০

ইস্টবেঙ্গল ১ (কেভিন লোবো)

৪০ গজ দূর থেকে যখন গোলার মতো শটটা প্রতিপক্ষের জালে জড়িয়ে গেল তখন ম্যাচের বয়স ৬০। আগের ম্যাচেই ঘরের মাঠে হারতে হয়েছে মোহনবাগানকে। যার ফলে লিগ থেকে অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছে কলকাতার এই দল। সে কারণেই ইস্টবেঙ্গলের সামনে ছিল আরও বড় চ্যালেঞ্জ। লড়াইটা উতরে দিল কেভিন লোবোর অসাধারণ একটা দূরপাল্লার শট। এই লোবোকেই মাঠের বাইরে বসিয়ে রেখেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ খালিদ জামিল। শুধুমাত্র তাঁর একগুঁয়েমির জন্য। যে কোনও দলের মাঝ মাঠে একটা লোবো থাকা মানেই অনেক ভরসা। আবারও প্রমাণ করে দিলেন এই গোয়ান।

শুরু থেকেই ম্যাচের রাশ নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এই ম্যাচ ছিল কার্যত শেষ লড়াই। প্রথম থেকেই মাঝ মাঠকে দারুণ ভাবে সচল রেখেছিলেন কেভিন লোবো। সঙ্গে আল আমনার গোলমুখী আক্রমণ। ম্যাচ শুরুর ছ’মিনিটের মধ্যেই ৪০ গজ দূর থেকে আল আমনার গোলমুখী শট সরাসরি গিয়ে জমা হয় প্রতিপক্ষ গোলকিপার রক্ষিত ডাগারের হাতে।

প্রথম থেকেই তাই ঘরের মাঠে একটু হলেও পিছিয়ে পড়েছিল মিনার্ভা। এখনও লিগ শীর্ষেই রয়েছে পঞ্জাবের এই দল। গত ম্যাচে অ্যারোজের বিরুদ্ধে যাঁর একমাত্র গোলে জয় পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল, এ দিন সেই ডুডুই বেশ অফ কালার। ১৪ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে ডুডুর ব্যাকভলিতে গোলের চেষ্টা সফল হয়নি।ম্যাচের আগের দিন মিনার্ভা কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতায় অনুশীলন করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু মিনার্ভাকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়েই মধুর বদলাটাও নিয়ে নিল কলকাতার দল।

আরও পড়ুন
উত্তপ্ত মলদ্বীপে উদ্বেগ নেই খাবরাদের

এ বারের আই লিগে যে চেঞ্চো আলোচনার তুঙ্গে রয়েছেন তিনিও এ দিন থমকে ছিলেন ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে। বক্সের মধ্যে বেশ কয়েক বার ভাল জায়গায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন ডুডু। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। বাজিকেও বেশ কয়েক বার দেখা গেল ইস্টবেঙ্গল বক্সের আশপাশে ঘোরাফেরা করতে। ৩৬ মিনিটে অভিষেক হওয়া ইয়ামিকে তুলে ক্রোমাকে নিয়ে আসেন ইস্টবেঙ্গল কোচ।

বল দখলের লড়াইয়ে ইস্টবেঙ্গল ও মিনার্ভার ফুটবলাররা। ছবি: ইস্টবেঙ্গল।

তার পরই প্রায় নিজের জালেই বল পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এডুয়ার্দো। উইলিয়াম ওপোকুর ক্রস বাঁক খেয়ে ইস্টবেঙ্গল গোলের দিকে ধেয়ে আসা রুখতে হেড করেছিলেন এডু। সেই হেড প্রায় গোলেই ঢুকে গিয়েছিল। নাগাল পাননি ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার উবেদ সিকে। কিন্তু এডুর সৌভাগ্য, বল বার ছুঁয়ে বেরিয়ে গেল বাইরে। তার পরই আকাশের দিকে হাত তুলে তাঁর ‘গড’কে যেন ধন্যবাদই দিলেন এডু। এর পরই চেঞ্চোকে বেশ কয়েক বার ঢুকে পড়তে দেখা গেল ইস্টবেঙ্গল বক্সে। ৪২ মিনিটে পেনাল্টির দাবিও উঠেছিল। কাটসুমির শর্ট কর্নার ধরে মিনার্ভা বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন ক্রোমা। কিন্তু বাজির পায়ে আটকে যান তিনি। পেনাল্টির দাবি উঠলেও রেফারি দেননি।

প্রথমার্ধ শেষ হয়েছিল গোলশূন্য ভাবেই। আর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল তুলে নিল ইস্টবেঙ্গল। আল আমনার থেকে পেয়ে চলতি বলেই লোবোর দুরন্ত শট। ৭৬ মিনিটে লোবোকে তুলে রফিককে নিয়ে আসেন কোচ। গোলের ব্যবধান বাড়াতে ফ্রেশ লেগকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এই ম্যাচে আর গোল হয়নি। দিনের শেষে ১৪ ম্যাচে মিনার্ভার পয়েন্ট ২৯। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট ২৬। মিনার্ভা আর ইস্টবেঙ্গলের মাঠে দ্বিতীয় স্থানে এক ম্যাচ বেশি খেলে রয়েছে নেরোকা এফসি। এই জয়ের ফলে ইস্টবেঙ্গলের লিগ জয়ের সম্ভাবনা আবার উজ্জ্বল হয়ে উঠল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE