এ বছরের শুরুতেই শিলিগুড়ি থেকে আবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি গুটিয়ে জলপাইগুড়িতে নিয়ে যাচ্ছে স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (সাই)-র শিলিগুড়ি শাখা। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম থেকে শীঘ্রই তাদের নতুন ঠিকানা হতে চলেছে জলপাইগুড়ি স্পোর্টস কমপ্লেক্স তথা বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে। সেখানকার উন্নত পরিকাঠামো পছন্দ হয়েছে সাই কর্তৃপক্ষের। শিলিগুড়িতে থাকার ব্যবস্থা, খেলার মাঠ পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যাও হচ্ছিল। জলপাইগুড়ির পরিকাঠামোতে সেসব মিটবে বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ি সাইয়ের অধিকর্তা ওয়াসিম আহমেদ। কেন্দ্রটিকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের খেলাধূলায় ‘সেন্টার অব এক্সেলেন্স’ হিসাবে গড়ে তুলতে চলেছে সাই।
সাইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে যে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে তা কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের থেকে অনেকটাই উন্নত। দৌড়ের ট্র্যাকও রয়েছে। তা ছাড়া উন্নত জিম, সুইমিং পুল এবং দু’টি মাঠ রয়েছে ওই কমপ্লেক্সে। আবাসিকদের থাকার ব্যবস্থাও অনেক ভাল হবে। যুব দফতরের অধীনে রয়েছে ক্রীড়াঙ্গনটি। গত ডিসেম্বরে সাইয়ের হাতে ক্রীড়াঙ্গন তুলে দেওয়ার জন্য চুক্তি হয়েছে বলে জানান জলপাইগুড়ি জেলা যুব দফতরের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক সুমন বাগদাস। সাই সূত্রে জানা গিয়েছে, সব কিছু চূড়ান্ত করতে ২৪ জানুয়ারি সাইয়ের উত্তর পূর্বাঞ্চলের অধিকর্তা মনজিৎ সিংহ গুন্ডি জলপাইগুড়িতে আসছেন। আপাতত ঠিক হয়েছে ৩০ বছরের জন্য সাইয়ের হাতে বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনের পুরো পরিকাঠামোটাই তুলে দেওয়া হবে।
গত নভেম্বরে সাইয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলের অধিকর্তা জলপাইগুড়ি এসে বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনের পরিকাঠামো দেখে গিয়েছেন। সে সময়ের শিলিগুড়ি সাইয়ের অধিকর্তা চন্দন চন্দ এ দিন জানান, তখনইই অধিকর্তাদের নজর কাড়ে ওই স্পোর্টস কমপ্লেক্স। সাইয়ের একটি সূত্রেই জানা গিযেছে, জলপাইগুড়িতে কেন্দ্রটিতে দৌড়ের মতো বিভিন্ন ‘অ্যাথলেটিক্স’ ছাড়া ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, টেবল টেনিস, আর্চারি, সাঁতারের প্রশিক্ষণ হবে।
শিলিগুড়ি থেকে এই প্রতিষ্ঠান চলে যেতে বসলেও ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা উদাসীন কেন তা নিয়ে স্থানীয় ক্রীডা়প্রেমীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। শিলিগুড়ি মহকুম ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপ রতন ঘোষ বলেন, ‘‘এখানে মাঠে দৌড়ের ট্র্যাক নেই। এ সব কারণে সাইয়েরও সমস্যা হয়। তাই আমরাও তাদের থাকার জন্য জোর করতে পারছি না।’’ অন্য দিকে জলপাইগুড়িতে সাইয়ের আবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহী সেখানকার ক্রীড়া মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy