Advertisement
E-Paper

চেন্নাই, গোয়া, বেঙ্গালুরু উঠতে পারে শেষ চারে

চেন্নাইয়িন এফসির হয়ে ইতিমধ্যেই ছ’টি গোল করে ফেলেছে জেজে লালপেখলুয়া। তিনিই চেন্নাইয়িনের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ১৮ গজ বক্সের সামনে জেজের ক্ষিপ্রতাই ওকে আরও অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।

ভাইচুং ভুটিয়া

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:২৫
নজরে: জেজে ভরসা দিচ্ছেন চেন্নাইকে। ফাইল চিত্র

নজরে: জেজে ভরসা দিচ্ছেন চেন্নাইকে। ফাইল চিত্র

আইএসএলে এই মরসুমে প্রতিটি দলকে খেলতে হবে মোট ১৮টি ম্যাচ। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ন’টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে প্রত্যেকটি দলই। বাকি রয়েছে আরও ন’টি ম্যাচ। ফলে আইএসএলের প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পরে, প্লে অফ খেলার জন্য প্রথম চার দলে থাকার দৌড়ে আমি এগিয়ে রাখব চেন্নাইয়িন এফসি, এফসি গোয়া ও বেঙ্গালুরু এফসিকে। এই তিনটি দলই বেশ ধারাবাহিক ভাবে পারফরম্যান্স করে যাচ্ছে এ বারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে। বাকি থাকছে চতুর্থ স্থান। এই জায়গাটা নিয়ে লড়াই হবে তিনটি দলের মধ্যে। লিগ টেবলের যা গতি প্রকৃতি তাতে এই তিন দল হতে পারে, এফসি পুণে সিটি, কেরল ব্লাস্টার্স ও মুম্বই সিটি এফসি।

চেন্নাইয়িন এফসির হয়ে ইতিমধ্যেই ছ’টি গোল করে ফেলেছে জেজে লালপেখলুয়া। তিনিই চেন্নাইয়িনের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ১৮ গজ বক্সের সামনে জেজের ক্ষিপ্রতাই ওকে আরও অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। একই সঙ্গে দলের মিডফিল্ডারদের সঙ্গে স্ট্রাইকারদের বোঝাপড়াও অন্য টিমগুলোর চেয়ে এগিয়ে রাখছে চেন্নাইয়িনকে।

এফসি গোয়াকেও চালকের আসনে রেখেছে দলের স্ট্রাইকাররাই। ফেরান কোরোমিনাস ও ম্যানুয়েল ল্যাঞ্জারতের কম্বিনেশনেই ১৬টি গোল পেয়েছে গোয়া। এ বারের টুর্নামেন্টে এফসি গোয়ার আক্রমণ ভাগকে সমীহ করছে সব দলই। গোয়ার দলটির এই দুই ফুটবলারের করা ষোলোটি গোলের মধ্যে ন’টি গোল করে এখনও পর্যন্ত আইএসএলের শীর্ষ গোলদাতার পদে রয়েছেন কোরোমিনাসই। বাকি সাতটি গোল ল্যাঞ্জারতের। ফলে টুর্নামেন্টে গোয়ার পারফরম্যান্স অন্য. দলগুলোর কাছে ঈর্ষণীয়। গোয়া তাই আমার কাছে্ অন্যতম ফেভারিট।

দলগত পারফরম্যান্সে আবার বেঙ্গালুরু এফসিকেই এগিয়ে রাখব। আইএসএলের পাশাপাশি এএফসি কাপেও খেলবে ওরা। ভাল খেলতে পারলে সেই আত্মবিশ্বাসটাই আইএসএলে কাজে লাগাতে পারবে সুনীল ছেত্রীরা। তবে এত ম্যাচ থাকার কারণে ওদের রিজার্ভ বেঞ্চকেও তৈরি রাখতে হবে। সামলাতে হবে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে ম্যাচ খেলার ধকলটাও। যেটা কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হতে যাচ্ছে। দেখতে হবে, এই ধকলটা সামলানোর জন্য কী রাস্তা নেয় বেঙ্গালুরু।

এফসি পুণে সিটিও বেশ আগ্রাসী দল। তবে এ ধরনের ফুটবল খেলতে ফুটবলারদের জায়গা বেশি লাগে। পুণের ঘরের মাঠ বালেওয়াড়ি স্টেডিয়াম অনেকটাই ছোট। তাই পুণের কাছে ঘরের মাঠে খেলাটাই অ্যাওয়ে ম্যাচের চেয়ে সমস্যার। ওদের টিমের স্টাইলের সঙ্গে এই ব্যাপারটা খাপ খায় না। মুম্বই সিটি এফসিও খারাপ খেলছে না। নিঃশব্দে এগিয়ে চলেছে ওরাও। শেষ ন’টি ম্যাচে ওরা ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

একই সঙ্গে ডেভিড জেমসকে আরও একবার কোচ হিসেবে পেয়েছে কেরল ব্লাস্টার্স। তিনি আসার পরেই কেরলকে হ্যাটট্রিক করে ম্যাচ জিতিয়েছেন ইয়ান হিউম। সুতরাং লড়াই এখনও শেষ হয়ে যায়নি। শেষ ন’টি ম্যাচে আরও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখার জন্য অপেক্ষা করতে
হবে।

Bhaichung Bhutia ISL 4 Chennai Bengaluru FC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy