Advertisement
E-Paper

ফাইনালের আগেই দ্বন্দ্ব রেফারি ও মারাদোনার

ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি মারাদোনার খেলার উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেছেন এদগার্দো। বলেছেন, ‘‘খেলার মধ্যে মারাদোনা এমন কিছু করছিল, যা অনবদ্য। দেখেছিলাম, বিপক্ষের ডিফেন্ডারদের কড়া ট্যাকলে কী ভাবে ওর হাঁটু বেলুনের মতো ফুলে গিয়েছিল। তাতেও খেলা থামায়নি।’’

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৫৫
বিতর্ক: ’৯০ বিশ্বকাপ ফাইনালে রেফারি এদগার্দোর সঙ্গে মারাদোনা।

বিতর্ক: ’৯০ বিশ্বকাপ ফাইনালে রেফারি এদগার্দোর সঙ্গে মারাদোনা।

রোমে ১৯৯০ বিশ্বকাপ ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির কাছে হারের পরে দিয়েগো মারাদোনার কান্না এখনও ভোলেননি ফুটবলপ্রেমীরা। এই ম্যাচটা হয়তো খেলতেই পারতেন না আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। খেলা শুরু হওয়ার আগেই তাঁকে লাল কার্ড দেখানোর কথা ভেবেছিলেন মেক্সিকোর রেফারি এদগার্দো কোদেসাল!

কী হয়েছিল বিশ্বকাপ ফাইনাল শুরুর আগে? উরুগুয়ের একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এদগার্দো বলেছেন, ‘‘ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় মারাদোনা চিৎকার করে গালাগালি করছিলেন। এই অপরাধের জন্য ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই আমি ওঁকে লাল কার্ড দেখাতে পারতাম।’’ এখানেই শেষ নয়। মেক্সিকোর রেফারির অভিযোগ আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তি তাঁর সততা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এদগার্দোর কথায়, ‘‘পেদ্রো মনসোনকে যখন আমি লাল কার্ড দেখাই, মারাদোনা আমাকে শুধু চোর বলেই থেমে থাকেননি। ফিফা আমাকে অর্থ দেয় বলেও অভিযোগ করেছিলেন।’’

ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি মারাদোনার খেলার উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেছেন এদগার্দো। বলেছেন, ‘‘খেলার মধ্যে মারাদোনা এমন কিছু করছিল, যা অনবদ্য। দেখেছিলাম, বিপক্ষের ডিফেন্ডারদের কড়া ট্যাকলে কী ভাবে ওর হাঁটু বেলুনের মতো ফুলে গিয়েছিল। তাতেও খেলা থামায়নি।’’ এর পরেই তিনি যোগ করেন, ‘‘ফুটবলার হিসেবে মারাদোনার শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। মানুষ হিসেবে খুব খারাপ।’’

১৯৯০ বিশ্বকাপ ফাইনালে ০-১ হেরে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোল করেছিলেন পশ্চিম জার্মানির আন্দ্রেস ব্রেহমে। ম্যাচের পেরেই ক্ষুব্ধ মারাদোনা রেফারিকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তি বলেছিলেন, ‘‘আমাদের ফুটবলারদের যাবতীয় পরিশ্রম একাই শেষ করে দিয়েছেন রেফারি। আসলে ম্যাচটা টাইব্রেকারে যেতে পারে ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন।’’ মারাদোনা আরও বলেছিলেন, ‘‘রেফারির আসল লক্ষ্য ছিল ইটালির মানুষকে খুশি করা। এই কারণেই অন্যায় ভাবে পেদ্রোকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বার করে দেন। আমাদের বিরুদ্ধে দেওয়া পেনাল্টিটাও ছিল সম্পূর্ণ ভাবে ওঁর কল্পনাপ্রসূত।’’

ফাইনালে হারের পরে মারাদোনা বলেছিলেন, ‘‘ফাইনালের হারটা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারিনি। দীর্ঘ দিন আমি কেঁদেছি। তবে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় হয়েছিলাম বলে আমি কাঁদিনি। যে ভাবে আমাদের হারানো হয়েছিল, তা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না।’’

আরও পড়ুন: আচমকাই সব চুক্তি ছেঁটে দিল ইস্টবেঙ্গল

World-Cup Rome Football Diego Maradona
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy