চিলির বিরুদ্ধে মেসিকে লাল কার্ড দেখানোর সেই মুহূর্ত। ছবি: এএফপি।
কোপা আমেরিকায় দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ামক সংস্থা কনমেবল-এর বিরুদ্ধ সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি।
বার্সার মহাতারকার এমন অভিযোগের পরে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, বড় শাস্তির মুখে পড়তে হবে এলএম ১০-কে। সে সব অবশ্য হয়নি। মেসিকে এক ম্যাচ নির্বাসন ও দেড় হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। ফলে ২০২২ বিশ্বকাপের যোগ্যতা পর্বে আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচে খেলতে দেখা যাবে না মেসিকে।
কোপা আমেরিকার শেষ চারের লড়াইয়ে ব্রাজিলের কাছে হেরে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচ হারার পরেই কনমেবল-এর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন মেসি। বলেছিলেন, আয়োজক দেশ হিসেবে ব্রাজিলকে চ্যাম্পিয়ন করানোর জন্যই কনমেবল চেষ্টা করেছে। পরে অবশ্য নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন মেসি।
আরও পড়ুন: সমুদ্রতটে মেসির সঙ্গে খুদে ভক্তের ফুটবল
আরও পড়ুন: গ্রিজ়ম্যান জানালেন, বার্সায় সই করে কেঁদে ফেলেন
চিলির বিরুদ্ধে তৃতীয় স্থানের ম্যাচে লাল কার্ড দেখানো হয় মেসিকে। লাল কার্ড দেখার পরে আর্জেন্টাইন তারকা বলেছিলেন, সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ার পরে কনমেবল-এর সমালোচনা করায় তৃতীয় স্থানাধিকারী ম্যাচে লাল কার্ড দেখানো হয়েছিল তাঁকে। কোপা আমেরিকায় তৃতীয় হওয়ার পরে পদকও নেননি মেসি।
কনমেবল-কে সরাসরি ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ সংস্থা বলায় দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবলের সর্বোচ্চ নীতি নিয়ামক সংস্থার মারাত্মক সম্মানহানি হয়েছে বলেই মনে করেছিলেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। মেসির উপরে কড়া শাস্তির খাঁড়া নেমে আসতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল। অবশেষে কঠিন শাস্তি নয়। এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি জরিমানা করেই ছেড়ে দেওয়া হল মেসিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy