হতাশ: বেঙ্গালুরুতে এ বার গোল নেই সনি নর্দের পায়ে। ফাইল চিত্র
মোহনবাগান ০ - বেঙ্গালুরুএফসি ০
রেফারি শ্রীকৃষ্ণ খেলা শেষের বাঁশি বাজানোর পরেই টিভির পর্দায় এক ঝলক দেখা গেল সনি নর্দের হতাশা মাখা মুখটা।
যে ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে হাসিমুখে ফেরার কথা ছিল সবুজ-মেরুন শিবিরের, সেই ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট আসায় এটাই স্বাভাবিক। কান্তিরাভা স্টেডিয়াম থেকে টিম বাসে হোটেলে ফেরার পথে ড্যারেল ডাফি বরং উত্তেজিত গলায় বললেন, ‘‘কাতসুমির গোলটা কেন বাতিল হল বুঝতে পারলাম না।’’ তার পরেই আক্ষেপ, ‘‘প্রথমার্ধে পাওয়া সুযোগগুলো থেকে গোল করতে না পারার জন্য হতাশা হচ্ছে ঠিকই! কিন্তু অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে এক পয়েন্টও খারাপ নয়। লিগে বহু উত্থান-পতন হবে এর পরেও। তাই ড্র হলেও আমরা চিন্তিত নই।’’
মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন অবশ্য কড়া সুরে বলে দেন, ‘‘আই লিগ এখনও শেষ হয়নি। ইস্টবেঙ্গল, আইজল দু’টি দলকেই আমাদের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। শেষ দিন পর্যন্ত লড়ব আমরা।’’
উত্তেজনাপূর্ণ যে ম্যাচে সনি বা সুনীলকে নিয়ে প্রত্যাশা ছিল দর্শকদের, সেই ম্যাচে ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে ম্যাচের পরিচালকরা। দু’বার হলুদ কার্ড দেখিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে তিনি মার্চিং অর্ডার দেন মোহনবাগান লেফ্ট ব্যাক শুভাশিস বসু-কে। যে প্রসঙ্গে দলের সঙ্গে বেঙ্গালুরু যাওয়া মোহনবাগান ফুটবল সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘‘শুভাশিসের সঙ্গী স্টপাররাও বলতে পারছে না কেন ও দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখল। রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে কিছু বুঝতে পারিনি। ভিডিও দেখতে হবে।’’
শেষ বেলায় কাতসুমির গোলও বাতিল করলেন লাইন্সম্যান। কিন্তু এই গোল বাতিল কেন তা টিভিতে পরিস্কার নয়। বক্সে সনির ভাসিয়ে দেওয়া বল থেকে কাতসুমি যখন হেডে গোল করছেন তখন রেফারি সহকারী রেফারির দিকে তাকিয়ে পতাকা তোলা থাকায় সেই গোল বাতিল করেন। কাতসুমিকে তিনি কার্ডও দেখান এরপর। ড্রেসিংরুমে ফিরে তাই সনিদের প্রশ্ন, অফসাইড যদি হয় তা হলে হলুদ কার্ড দেখানো হল কেন? শোনা যাচ্ছে, হেড করতে গিয়ে কাতসুমি নাকি ফাউল করেছিলেন বেঙ্গালুরু গোলকিপার অরিন্দমকে। তাই কাতসুমিকে কার্ড দেখান রেফারি। যদিও কাতসুমির গোল বাতিল নিয়ে ম্যাচ শেষে বিতর্ক কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে। সবুজ-মেরুন শিবির এ ব্যাপারে কোনও প্রতিবাদ জানাতে নারাজ। অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, ‘‘প্রতিবাদ করে কোনও লাভ নেই। করতেও চাই না।’’ এ দিন ড্রয়ের ফলে ১২ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানেই রইল মোহনবাগান। ১৩ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে দু’নম্বরে ইস্টবেঙ্গল।
মোহনবাগান: শিলটন পাল, প্রীতম কোটাল, এদুয়ার্দো ফেরেইরা, আনাস এডাথোডিকা, শুভাশিস বসু, কাতসুমি ইউসা, সৌভিক চক্রবর্তী, শেহনাজ সিংহ (বিক্রমজিৎ সিংহ), সনি নর্দে, ড্যারেল ডাফি (প্রবীর দাস) বলবন্ত সিংহ (জেজে লালপেখলুয়া)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy