উল্লাস: কোপায় পেরুর বিরুদ্ধে বড় জয়। গোলের উৎসবে জেসুসরা। এএফপি
সাম্বা ঝড়ে বিধ্বস্ত পেরু। জয় দিয়ে কোপা আমেরিকায় অভিযান শুরু করলেও ব্রাজিলের সমর্থকেরা হতাশ ছিলেন রবের্তো ফির্মিনো, ফিলিপে কুতিনহোদের খেলায়। গ্রুপ পর্বে আগের ম্যাচে ভেনেজ়ুয়েলার বিরুদ্ধে ড্রয়ের পরে দর্শকদের বিদ্রুপের শিকার হয়েছিলেন তাঁরা। উদ্বিগ্ন ছিলেন কোচ তিতেও। অবশেষে ছন্দে ফিরল ব্রাজিল।
রবিবার সাও পাওলোয় গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে ১২ মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে প্রথম গোল করেন কার্লোস হেনরিক কাসেমিরো। সাত মিনিট পরে দ্বিতীয় গোল রবের্তো ফির্মিনোর। ৩২ মিনিটে ফের ধাক্কা। এ বার গোল এভার্টন সোয়ারেসের। ম্যাচের সেরাও হন তিনি। প্রথমার্ধেই ০-৩ পিছিয়ে যাওয়ার ধাক্কা সামলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পেরু। ৫৩ মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে চতুর্থ গোল করে অধিনায়ক দানি আলভেস স্পর্শ করলেন পেলের নজির। দেশের হয়ে ১১৩টি ম্যাচ খেলেছিলেন ফুটবল সম্রাট। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ফেললেন আলভেসও। তাঁর সামনে এই মুহূর্তে জালমা সান্টোস। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে পঞ্চম গোল করেন উইলিয়ান।
ব্রাজিলকে ছন্দে ফেরাতে পেরু ম্যাচে প্রথম একাদশে তিতে ফিরিয়েছিলেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও এভার্টনকে। দুই তারকাই অসাধারণ খেললেন। ম্যাচের পরে তিতে বলেছেন, ‘‘আগের দু’টো ম্যাচে প্রথমার্ধে স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারিনি বলে গোলও হয়নি। পেরুর বিরুদ্ধে শুরুতেই গোল পেয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। অন্যতম সেরা ম্যাচ খেললাম।’’ পাঁচ গোলে দুরন্ত জয়ের পরেও চিন্তা কমছে না তিতের। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রত্যেকটা ম্যাচে গড়ে আমরা ৬০০টি পাস খেলছি। কিন্তু সেই তুলনায় গোল অনেক কম হয়েছে। যদিও পেরুর বিরুদ্ধে সেই সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘ছন্দ ধরে রাখাই আসল পরীক্ষা। তাই একটা জয় নিয়ে উচ্ছ্বসিত হলে চলবে না।’’ কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ কোন দল তা অবশ্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তিতেও তা নিয়ে ভাবছেন না। ঘরের মাঠে নবম কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া ব্রাজিল কোচ বলেছেন, ‘‘সব দলেই ছোটখাটো সমস্যা থাকে। নেমারের না থাকা নিয়ে দল ভাবছে না। আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যেই খেলছি।’’ তিতের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন কাসেমিরোও। রিয়াল মাদ্রিদ তারকাকে কার্ড সমস্যায় কোয়ার্টার ফাইনালে পাওয়া যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy