মনু ভাকের
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে লকডাউন চলছে বিভিন্ন দেশে। শুটিং-সহ খেলাধূলার বিভিন্ন প্রতিযোগিতা বাতিল হয়েছে। এই অবস্থায় বিশ্বের প্রথম সারির কয়েকজন শুটার ১৫ এপ্রিল তাঁদের ঘরেই শুটিং রেঞ্জ বানিয়ে নামতে চলেছেন অভিনব আন্তর্জাতিক অনলাইন চ্যাম্পিয়নশিপে। যা এর আগে কখনও হয়নি। যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ থাকা মোবাইল ফোনের সামনে একটি বৈদ্যুতিন নিশানা বানিয়ে অনলাইন শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেবেন প্রায় ৫০ জন শুটার।
ভারত থেকে এই অভিনব শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়ার কথা মনু ভাকের, সঞ্জীব রাজপুত, দিব্যাংশ সিংহ পানোয়ারদের। এ ছাড়াও, আর্ন্তজাতিক তারকা শুটারদের মধ্যে রয়েছেন, ২০১৯ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত শুটিং বিশ্বকাপে জোড়া সোনা জয়ী হাঙ্গেরির ভেরোনিকা মেজর, স্পেনের নিকোলাস ফ্রাগা কোরেদোরিয়া, স্কটল্যান্ডের এমিলা ফকনার, লুসি ইভান্সরা।
অভিনব এই শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক ভারতের প্রাক্তন শুটার শিমন শরিফ। ধারাভাষ্যের দায়িত্বে অলিম্পিয়ান জয়দীপ র্কমকার। বিচারকরাও থাকবেন, যাঁরা এই প্রতিযোগিতার সময়ে বাড়ির কম্পিউটার থেকে নম্বর দেবেন প্রতিযোগীদের।
সংবাদসংস্থাকে শরিফ বলেছেন, ‘‘করোনার জেরে আন্তর্জাতিক শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশন (আইএসএসএফ) বিশ্বকাপ-সহ বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতা বাতিল করেছে। তাই এই সময়ে খেলাটাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এটি একটা প্রচেষ্টা।’’ যোগ করেছেন, ‘‘বর্তমানে এই প্রতিযোগিতা ভারত ও বিশ্বের প্রথম সারির শুটারদের নিয়ে আয়োজন করা হলেও পরবর্তীকালে সবাইকে নিয়ে প্রতি তিন মাস অন্তর আয়োজন করা হবে। যেখানে পুরস্কারমূল্যও রাখা হবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বেশি খরচ না করে, কোনও দেশে না গিয়ে শুটাররা বাড়ির শুটিং রেঞ্জ থেকেই একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সেটাও প্রমাণ করা প্রতিযোগিতার একটা বড় উদ্দেশ্য।’’
জানা গিয়েছে, অভিনব এই শুটিং প্রতিযোগিতায়, প্রত্যেক প্রতিযোগীই ১৫ এপ্রিল একটি নির্দিষ্ট সময়ে বাড়িতে শুটিং করবেন। প্রতিযোগিতায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে একটি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থাও থাকছে। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের দেখার জন্য একটি শুটিং ওয়েবসাইটে দেখানো হবে এই প্রতিযোগিতা। যেখানে তাঁরা নিজেদের মতামতও জানাতে পারবেন।
কখন হবে এই প্রতিযোগিতা? জানা গিয়েছে, ভারতীয় সময় বিকেল চারটেয় এই প্রতিযোগিতা একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন দেশের শুটারেরা এই সময় নিজের বাড়িতে শুটিং শুরু করবেন। শরিফের কথায়, ‘‘প্রত্যেক প্রতিযোগীর দরকার একটি বৈদ্যুতিন নিশানা আর ইন্টারনেট সংযোগ যুক্ত একটি মোবাইল ফোন। একজন বিশ্বমানের শুটারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে জুনিয়র শুটারদের উৎসাহ আরও বাড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy