ইস্টবেঙ্গল কি আইএসএলে খেলবে? না কি আই লিগেই থাকবে? আগামী মরসুমে লাল-হলুদ শিবিরের কোচ কে হবেন? কোনও কিছুই এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। অথচ একের পর এক ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করছেন ক্লাব কর্তারা। দল গঠনের এই পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুললেন ভাইচুং ভুটিয়া।
লকডাউনের জেরে এই মুহূর্তে শিলিগুড়িতে গৃহবন্দি ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। বুধবার ফোনে আনন্দবাজারকে হতাশ ভাইচুং বললেন, ‘‘আমার মতে সব চেয়ে আগে কোচ চূড়ান্ত করা উচিত। তা না করে একের পর এক ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করে মারাত্মক ভুল করছে ইস্টবেঙ্গল।’’ কেন? লাল-হলুদ জনতার নয়নের মণির ব্যাখ্যা, ‘‘ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকেরা যে ধরনের ফুটবল প্রত্যাশা করেন, সে রকম খেলা উচিত বলেই আমি মনে করি। ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশন তাঁকেই কোচ করবে, যিনি দলকে ব্রাজিলীয় ঘরানায় খেলাবেন। এমন কাউকেই দায়িত্ব দেবে না, যিনি অন্য ধরনের ফুটবল খেলান। সারা বিশ্বেই এই ব্যাপারটাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ ভাবেই দল গঠন হয়। ইস্টবেঙ্গলেরও এই পরিকল্পনা নিয়ে এগোনো উচিত।’’ তিনি আরও বললেন, ‘‘বিশ্বের সব ক্লাবেই ম্যানেজারকে স্বাধীনতা দেওয়া হয় ফুটবলার নির্বাচনের ক্ষেত্রে। ক্লাবের কাজ হচ্ছে কোচকে বলে দেওয়া—দল গঠনের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ রয়েছে, তার মধ্যেই আপনাকে ফুটবলার নিতে হবে। এতে কোচের কাজটাও অনেক সহজ হয়ে যায়। তিনি তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী ফুটবলার নিতে পারেন।’’
শতবর্ষে ট্রফিহীন ইস্টবেঙ্গল। নতুন মরসুমে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে লকডাউন শুরু হওয়ার আগে প্রাক্তন তারকাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন লাল-হলুদ শিবিরের কর্তারা। ভাইচুং বলছিলেন, ‘‘পরামর্শ দেওয়ার জন্য ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, ষষ্ঠী দুলে, অ্যালভিটো ডি’কুনহা, ফাল্গুনি দত্ত, দীপঙ্কর রায়, চন্দন দাসের সঙ্গে আমাকেও ডেকেছিলেন ক্লাব কর্তারা। দীর্ঘ ক্ষণ আলোচনা হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই আমার মত জানিয়ে দেব।’’ কী পরামর্শ দেবেন? ‘‘আগে কোচ চূড়ান্ত করতে হবে। তার পরে টেকনিক্যাল কমিটি গড়তে হবে। কমিটির সদস্যদের কোচের সঙ্গে আলোচনা করেই ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি করা উচিত,’’ বলে দিলেন ভাইচুং।
আরও পড়ুন: জন্মদিন পালন স্থগিত সচিনের