কবে ভারতের হাতে এশিয়া কাপের ট্রফি তুলে দিতে চান, সেই তারিখ জানিয়ে দিলেন মহসিন নকভি। তবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসবি)-এর প্রধানের শর্ত সেই একটিই, এশিয়া কাপে খেলা কোনও ভারতীয় ক্রিকেটারকে দুবাইয়ে গিয়ে তাঁর কাছ থেকে ট্রফি নিতে হবে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এবং এসিসি সদস্য দেশগুলিকে নকভি জানিয়েছেন, ১০ নভেম্বর দুবাইয়ে তিনি একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চান। সেখানে বিসিসিআই-এর কোনও প্রতিনিধি এবং এশিয়া কাপে খেলা ভারতীয় দলের কোনও ক্রিকেটার ট্রফি নিতে পারবেন।
ভারতীয় বোর্ড ট্রফি চেয়ে যে চিঠি দিয়েছিল, তার জবাবে নকভি লিখেছেন, ‘‘এশিয়া কাপ ট্রফি অবশ্যই ভারতের প্রাপ্য। যতক্ষণ না বিসিসিআই-এর কোনও কর্তা এবং এশিয়া কাপে খেলা কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার দুবাইয়ে এই ট্রফি নিতে আসছেন, ততক্ষণ এটা সুরক্ষিতই থাকবে।’’
অনুষ্ঠান করে ভারতের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হবে জানিয়ে নকভি লিখেছেন, ‘‘অবশ্যই ধুমধাম করে এই অনুষ্ঠান হবে। সমর্থকেরা থাকবেন। প্রচার থাকবে। কারণ, ট্রফি দেওয়ার প্রচলিত রীতির কোনও বিচ্যুতি হওয়া উচিত নয়। এমন কোনও নজির থাকা উচিত নয় যাতে যে খেলাটা আমরা সকলে ভালবাসি, তার স্পিরিট নষ্ট হয়।’’
আরও পড়ুন:
এরপর নকভি চিঠিতে যা লিখেছেন, তাতে আগামী মাসে এসিসি-র বৈঠকে ভারত এবং পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে যে করমর্দন হবে না, তা মোটামুটি নিশ্চিত। দুই দেশের বোর্ড কর্তাদের মধ্যে কতখানি অবিশ্বাস রয়েছে, তা চিঠিতে স্পষ্ট। নকভি লিখেছেন, ‘‘আপনার (ভারতীয় বোর্ডের) চিঠির বাকি অংশের কথায় আসি। আপনারা যতই আমাদের অপবাদ দিন এবং আপনারাই যে মূল্যবোধের কথা তুলে ধরেন, তা থেকে সরে আসুন, এসিসি সভাপতির দফতর কোনও সস্তার রাজনীতিতে লিপ্ত হবে না।’’
ভারতীয় বোর্ড অসত্য বলছে বুঝিয়ে দিয়ে নকভি এরপর লেখেন, “আসল সত্যিটা হল, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বিসিসিআই কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা সরকারি ভাবে এসিসি দফতর বা টুর্নামেন্ট ডিরেক্টরকে কখনও জানানো হয়নি। ঠিক যখন অনুষ্ঠানটি শুরু হতে যাচ্ছিল এবং অতিথিরা মঞ্চে উঠে গিয়েছিলেন, তখন বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি জানিয়ে দেন যে, ভারতীয় ক্রিকেট দল এশিয়া কাপ ট্রফি গ্রহণ করবে না। সমস্যা সমাধানের সবরকম চেষ্টা করা হয়েছিল। এর ফলে অনুষ্ঠান শুরু হতেও অত্যধিক দেরি হয়েছিল। এসিসি সভাপতি এবং বিশিষ্ট অতিথিরা প্রায় ৪০ মিনিট অপেক্ষা করেছিলেন যাতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের গাম্ভীর্য বজায় থাকে এবং রাজনীতির দ্বারা প্রভাবিত না হয়। কিন্তু সব চেষ্টাই বৃথা যায়।’’