জয় শাহ। —ফাইল চিত্র।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে বিতর্কের জেরে কি এখনই বিশ্ব ক্রিকেটের মসনদে বসা হচ্ছে না জয় শাহের? রবিবার, ১ ডিসেম্বর আইসিসির চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার কথা শাহের। কিন্তু পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এখনই দায়িত্ব নিতে পারবেন না তিনি।
‘ক্রিকেট পাকিস্তান’ জানিয়েছে, শনিবার কার্যকাল শেষ হওয়ার কথা ছিল গ্রেগ বার্কলের। দায়িত্ব ছাড়ার আগে তাঁর শেষ কাজ ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি ঘোষণা করা। কিন্তু পাকিস্তানেই সেই প্রতিযোগিতা হবে কি না তা নিয়ে এখনও কোনও ঘোষণা হয়নি। এই অবস্থায় শাহকে দায়িত্ব দিলে এই সমস্যা মেটানো তাঁর পক্ষে কঠিন হতে পারে। সেটা চাইছে না আইসিসি। এই পরিস্থিতিতে বার্কলের কার্যকাল আরও এক মাস বৃদ্ধি করা হতে পারে। অর্থাৎ, ১ ডিসেম্বরের বদলে ১ জানুয়ারি থেকে দায়িত্ব নিতে পারেন শাহ। তবে এখনও পর্যন্ত আইসিসি এই বিষয়ে কিছু জানায়নি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য শুক্রবার বৈঠক ডেকেছিল আইসিসি। সেই বৈঠক ১৫ মিনিটের মধ্যেই স্থগিত করে দেওয়া হয়। শুক্রবারের বৈঠকে সব পক্ষই হাজির ছিল। তবে প্রতিটি দেশকে সিদ্ধান্ত নিতে সময় দেওয়ার জন্য বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার আবার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই বৈঠকও পিছিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও সমাধানসূত্র না বার হওয়া পর্যন্ত বার্কলের হাতেই আইসিসি দায়িত্ব রাখতে চাইছে বলে জানিয়েছে ‘ক্রিকেট পাকিস্তান’।
জানা গিয়েছে, শুক্রবারের বৈঠকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে আইসিসি জানিয়েছে, ‘হাইব্রিড মডেল’ ছাড়া কোনও উপায় নেই। ভারতের দাবি মেনে নিতে পারে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তবে তার আগে আইসিসিকে তিনটি শর্ত দিয়েছে তারা। সেই শর্ত মানলে তবেই রাজি হবে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের তিন শর্ত:
দুবাইয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা— ভারতের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ দুবাইয়ে হতে পারে। তাদের নক আউট পর্বের খেলাও সেখানে হলে সমস্যা নেই। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে যে সব দল খেলতে যাবে তাদের নিরাপত্তা পর্যাপ্ত থাকতে হবে।
ভারত বাদ পড়লে বাকি খেলা পাকিস্তানে— ভারত যদি গ্রুপ পর্বে বাদ পড়ে তা হলে আগের সূচি অনুযায়ী সেমিফাইনাল ও ফাইনালে লাহোরেই হবে। দুবাইয়ে আর কোনও ম্যাচ হবে না।
ভারতে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় পাকিস্তান খেলবে নিরপেক্ষ মাঠে— পরবর্তীতে ভারতকে যদি আইসিসি কোনও প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব দেয়, তা হলে পাকিস্তান খেলতে যাবে না। পাকিস্তানের সব প্রতিযোগিতা কোনও নিরপেক্ষ দেশে ফেলতে হবে।
এই তিনটি শর্ত আইসিসি মানলে তবেই ‘হাইব্রিড মডেল’-এ রাজি হবে পাকিস্তান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy