টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন শন মার্শ। ফর্মে থাকতে থাকতেই ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল মিচেল মার্শের দাদার। শনিবার বিগ ব্যাশ লিগের ম্যাচ খেলার পর অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন শন।
সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে হঠাৎ অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন অস্ট্রেলীয় ব্যাটার। শনিবারই বিগ ব্যাশ লিগে খেলেছেন ৪৯ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। ওপেন করতে নেমে মেরেছেন ১০টি চার। মেলবোর্ন স্টার্সের বিরুদ্ধে মেলবোর্ন রেনেগেডসকে ম্যাচ জেতানোর পরই অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন শন। ২৩ বছরের ক্রিকেটজীবন আর লম্বা করতে চান না তিনি। শন জানিয়েছেন, ‘‘আমি রেনেগেডসের হয়ে খেলতে ভালবাসি। গত পাঁচ বছরে দুর্দান্ত কিছু মানুষের সঙ্গে মেশার সুযোগ পেয়েছি। যাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে। আশা করি আমাদের বন্ধুত্ব সারা জীবন অটুট থাকবে। আমাদের এই দলটা দুর্দান্ত। ওরা যত ভাল সতীর্থ, তার থেকেও ভাল বন্ধু। ওদের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। আমাদের সদস্য এবং সমর্থকেরাও দারুণ। ক্রিকেট নিয়ে ওদের আবেগ দেখার মতো। আমার এই যাত্রায় সব সময় তাঁদের সমর্থন পেয়েছি।’’
প্রথম আইপিএলের সব থেকে বেশি রান করে নজর কেড়েছিলেন শন। সেই সাফল্যের সুবাদে ডাক পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে। দেশের হয়ে শেষ বার তিনি খেলেন ২০১৯ সালের জুন মাসে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩৮টি টেস্ট, ৭৩টি এক দিনের ম্যাচ এবং ১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩টি শতরান-সহ প্রায় ৯ হাজার রান রয়েছে তাঁর। বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটার স্পিন বোলিংও করতে পারতেন। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁকে কখনও বল করতে দেখা যায়নি। এ বারের বিগ ব্যাশ লিগে পাঁচটি ম্যাচ খেলে ৪৫.২৫ গড়ে ১৮১ রান করেছেন তিনি। দু’টি অর্ধশতরান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে।
গত সাড়ে চার বছর জাতীয় দলে সুযোগ পাননি ৪০ বছরের শন। জাতীয় দলে তাঁর ফেরারও কোনও সম্ভাবনা ছিল না। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন জিয়োফ মার্শের বড় ছেলে। তাঁর ভাই মিচেল এখন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের নিয়মিত সদস্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy