শেষ ম্যাচ জিতলেও সিরিজ জেতা হল না বাংলাদেশের। ছবি: টুইটার।
অবশেষে এক দিনের ক্রিকেটে জয় পেল বাংলাদেশ। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে তামিম ইকবালরা জিতলেন ১০৫ রানে। আগেই দু’ম্যাচ হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশ অবশ্য সিরিজ হারল ১-২ ব্যবধানে।
গত কয়েক মাসে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ যতটা সফল, ততটা নয় এক দিনের ক্রিকেটে। টেস্টে ক্রিকেটে সাফল্যের হার আরও কম। খাতায় কলমে দুর্বল জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে জয়ের আশা নিয়েই হারারের বিমানে উঠেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কিন্তু হারারেতেও হারের অভিজ্ঞতা নিয়েই দেশে ফিরতে হচ্ছে তাঁদের।
প্রথম দু’টি এক দিনের ম্যাচে লজ্জার হারের পর তৃতীয় ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয়। প্রথম দু’ম্যাচে হারের লজ্জা হয়তো কিছুটা ঢাকল। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ভাল বিজ্ঞাপন কি হল? এই প্রশ্ন থাকবে। প্রশ্ন থাকবে তৃতীয় ম্যাচে বড় জয়ের আড়ালে থাকা ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়েও।
টস জিতে জিম্বাবোয়ে অধিনায়ক সিকন্দর রাজা প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান তামিমদের। বাংলাদেশ করল ৯ উইকেটে ২৫৬ রান। ওপেনার আনামুল হকের ৭১ বলে ৭৬ রান এবং ছয় নম্বরে নামা আফিফ হোসেনের ৮১ বলে ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস ছাড়া কেউই রান পেলেন না। আনামুলের ইনিংসে রয়েছে ৬টি চার এবং ৪টি ছয়। আফিফের ইনিংসটি সাজানো ৬টি চার, ২টি ছয় দিয়ে। মন্দের ভাল মাহমুদুল্লাহর ৩৯ রানের ইনিংস। তিনি অবশ্য খেললেন অস্বস্তি সঙ্গী করেই। তাঁর ৬৯ বলের ইনিংস এক দিনের ক্রিকেটে বড্ড বেমানান। বাংলাদেশের পাঁচ জন ব্যাটার খাতাই খুলতে পারলেন না।
জিম্বাবোয়ের বোলাররা দারুণ বোলিং করেছেন, এমন নয়। তবু ২২ গজে নিজেদের প্রয়োগ করতে পারলেন না বাংলাদেশের ব্যাটাররা। আয়োজকদের সফলতম বোলার লুক জংউই ৬ ওভার বল করে ৩৮ রানে ২ উইকেট নিলেন। ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলি মাধবেরা, ভিক্টর নিয়াউচিরা উইকেট না পেলেও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেন।
জবাবে ৩২.২ ওভারে ১৫১ রানেই শেষ হয়ে গেল জিম্বাবোয়ের ইনিংস। ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নামা রিচার্ড নাগারভা অপরাজিত ৩৪ রান এবং ১১ নম্বরে নামা নিয়াউচের ২৬ রান না করলে তিন অঙ্কের রানেও পৌঁছতে পারত না আয়োজকরা। এই দুই ব্যাটারের পরেই সর্বোচ্চ রান বাংলাদেশের বোলারদের দেওয়া অতিরিক্ত ২৫। ক্লাইভ মদন্ডে করলেন ২৪ রান। জিম্বাবোয়ের আর কোনও ব্যাটারই উল্লেখযোগ্য রান করতে পারলেন না। ৩১ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর জিম্বাবোয়ের জয়ের আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়।
১৭ রানে ৪ উইকেট নিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ২টি করে উইকেট পেলেন তাইজুল ইসলাম এবং এবাদত হোসেন। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ এবং মেহদি হাসান মিরাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy