জসপ্রীত বুমরাহ কি আদৌ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারবেন? কোনও জবাব দিচ্ছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তার ফলে সংশয় আরও বাড়ছে। তিনি খেলতে না পারলে পরিবর্ত হিসাবে কে খেলবেন? এক পেসারকে তৈরি রেখেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, বুমরাহকে সুস্থ করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। যদি তাঁর খেলার ১ শতাংশ সম্ভাবনাও থাকে তা হলে তাঁকে প্রতিযোগিতায় নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু যদি কোনও ভাবেই বুমরাহ খেলতে না পারেন, তা হলে পরিবর্ত ঘোষণা করতে হবে। বুমরাহ না খেললে দলে ঢুকবেন হর্ষিত রানা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ় বুমরাহের পরিবর্ত হিসাবে খেলছেন হর্ষিত। তিনি উইকেটও নিচ্ছেন। এই পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট, বুমরাহের পরিবর্ত হিসাবে হর্ষিতই খেলবেন।
আপাতত বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে সুস্থ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন বুমরাহ। বোর্ডের কর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, “জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে স্ট্রেংথ এবং কন্ডিশনিং কোচ রজনীকান্ত শিবাঙ্গনম এবং ফিজ়িয়ো তুলসী রাম যুবরাজ বুমরাহকে রিহ্যাব করাচ্ছেন। চিকিৎসক নিতিন পটেল ভারতীয় পেসারকে প্রতিটা মুহূর্তে নজরে রেখেছেন। সেই সঙ্গে জাতীয় দলের স্ট্রেংথ এবং কন্ডিশনিং কোচ সোহম দেশাই এবং ফিজ়িয়ো কমলেশ জৈন খোঁজ নিচ্ছেন বুমরাহের।”
চোটের পর থেকে ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন বুমরাহ। এই সময় তাঁর জিম করাও নিষিদ্ধ ছিল। এ বার তাঁর রিহ্যাব শুরু হয়েছে। যদিও এনসিএ থেকে বুমরাহ সংক্রান্ত কোনও খবর যাতে কেউ জানতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা নিয়েছে বোর্ড। বুমরাহ কতটা সুস্থ, কতটা উন্নতি করছেন সেটা মাত্র চার-পাঁচ জন জানতে পারবেন। বাকি কারও কাছে সঠিক তথ্য থাকবে না বলে জানা গিয়েছে। যদিও সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুতে বুমরাহের সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তি তাদের জানিয়েছেন যে, ভারতের অন্যতম সেরা পেসারকে দলে ফেরানোর জন্য সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপে হার্দিক পাণ্ড্য বা শুভমন গিলকে নিয়ে বোর্ড যে ভাবে এগিয়েছিল সেই একই ভাবে বুমরাহকে নিয়ে এগোতে চাইছে তারা। বোর্ডের ওই আধিকারিক বলেছেন, “যদি বুমরাহের ১ শতাংশও খেলার সম্ভাবনা থাকে, তা হলে বোর্ড অপেক্ষা করবে। এক দিনের বিশ্বকাপে চোট পাওয়া হার্দিকের পরিবর্ত হিসাবে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের নাম ঘোষণার আগে দু’সপ্তাহ অপেক্ষা করা হয়েছিল। বিশ্বকাপের আগে শুভমন যখন অসুস্থ হল তখনও ওর বিকল্প ঘোষণা করা হয়নি। বুমরাহের ক্ষেত্রেও একই পথে হাঁটতে চাইছে বোর্ড। বিশ্বকাপের দল ঘোষণার একটা সময়সীমা আছে। সেটাই নিয়ম। কিন্তু সেই নিয়মের ফাঁকও আছে। যদি বুমরাহ শেষ পর্যন্ত চোটের কারণে খেলতে না পারে তা হলে তো পরেও টেকনিক্যাল কমিটির কাছে আবেদন করে পরিবর্ত ঘোষণা করা যাবে। বোর্ড সেই পথ নিতে চাইছে।”
১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত দল ঘোষণা করতে হবে। তার পরে একমাত্র চোটের কারণে কোনও ক্রিকেটার বাদ পড়লে পরিবর্ত নেওয়া যাবে। বোর্ড এই সুযোগটাই নিতে চাইছে। কারণ, প্রতিযোগিতা শুরু হতে এখনও ৯ দিন বাকি। ভারতের প্রথম ম্যাচ ১০ দিন পরে। হাতে সময় রয়েছে। তার মধ্যে বুমরাহকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা হবে। যদি প্রতিযোগিতার পরের দিকের ম্যাচগুলিতে তাঁকে পাওয়া যায়, তা হলেও ভারতের সুবিধা। সেই কথা মাথায় রেখেই এগোচ্ছে বিসিসিআই।