—প্রতীকী চিত্র।
জয়ের হ্যাটট্রিক হল না বাংলার। তামিলনাড়ুর সামনে মুখ থুবড়ে পড়লেন সুদীপ কুমার ঘরামিরা। মাত্র ৮৪ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলার ইনিংস। জবাবে ১৯.১ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৮৫ রান তুলে দেয় তামিলনাড়ু।
পাঁচটি উইকেট হারালেও দ্রুত ম্যাচ শেষ করায় নেট রানরেটের দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে গেল তামিলনাড়ু। বাংলার সামনে পথ খুব একটা সহজ নয়। দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে গেলে হারাতে হবে মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাবের মতো শক্তিশালী দলকে। গোয়াও রয়েছে বাংলারই গ্রুপে। সেই ম্যাচটি তুলনামূলক সহজ হলেও হাল্কা ভাবে নিতে চায় না বাংলা।
সোমবার সকালের দিকটায় কিছুটা বৃষ্টি হয় মুম্বইয়ে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তামিলনাড়ুর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। সেই সময় আকাশও মেঘলা হয়ে আসে। শুরু থেকে বল এতটা নড়াচড়া করছিল যে, বাংলার ব্যাটসম্যানেরা সুইং ও গতির নাগাল পাননি। সন্দীপ ওয়ারিয়র ও টি. নটরাজন ভাঙন ধরান বাংলার ব্যাটিং বিভাগে।
এ দিন আবার আকাশ দীপকে তিন নম্বরে নামিয়ে পরীক্ষা করে বাংলা শিবির। তিনি দ্রুত শট নিতে পারেন। তাই হয়তো উপরের দিকে পাঠানো হয়েছিল ব্যাটিংয়ে। যদিও তিনি ৯ বলে শূন্য রান করে ফিরে যান। শেষ ম্যাচে ১৪১ রান করা অভিমন্যু ঈশ্বরন এ দিন এক রান করে ফিরে যান। ১৪ রান করে নটরাজনের শিকার হন অভিষেক পোড়েল। চার উইকেট নেন সন্দীপ। দু’টি করে উইকেট নেন নটরাজন ও বি. অপরাজিত। একটি করে উইকেট সাই কিশোর ও সিভি বরুণের।
বাংলার হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন ঈশান পোড়েল ও মহম্মদ কাইফ। এক উইকেট আকাশ দীপের। ম্যাচ শেষে বাংলার সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী বলেন, ‘‘মেঘলা আকাশ হয়ে গিয়েছিল। বল অনেক বেশি নড়াচড়া করছিল। তবে এই পর্যায়ে এ ধরনের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে তো খেলতেই হবে। বল তো সুইং করবেই, সেটা কী ভাবে সামলানো যায়, তা খুঁজে বার করতে হবে আমাদেরই। না হলে বড় প্রতিযোগিতা জেতা সম্ভব নয়।’’
বাংলার পরবর্তী ম্যাচ বুধবার। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy