প্রথমে ত্রিপুরা। এ বার অসম। রঞ্জি ট্রফিতে আরও একটা ম্যাচে হাতের পয়েন্ট মাঠে ফেলে এল বাংলা। যেখানে ৭ পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল, সেখানে বাংলা পেল ৩ পয়েন্ট। কল্যাণীতে অসমের বিরুদ্ধে ড্র করে সন্তুষ্ট থাকতে হল অভিমন্যু ঈশ্বরণদের। নেপথ্যে মহম্মদ শামিদের নির্বিষ বোলিং। শেষ দিনে অসমের ৭ উইকেটও ফেলতে পারলেন না শামিরা।
শেষ দিন খেলতে নামার আগে বাংলার থেকে ১৪৪ রানে পিছিয়ে ছিল অসম। বাংলার দরকার ছিল ৭ উইকেট। তৃতীয় দিনের অপরাজিত জুটি দেনীশ দাস ও অধিনায়ক সুমিত ঘাদিগাঁওকর সেই জুটি এগিয়ে নিয়ে গেলেন। দেনীশের পর অর্ধশতরান করলেন সুমিত। দেনীশ ৭৩ ও সুমিত ৬৭ রান করলেন।
এই জুটি আউট হওয়ার পর শিবশঙ্কর রায় নীচের সারির ব্যাটারদের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন। অসমের ব্যাটারদের লক্ষ্য ছিল ক্রিজ়ে পড়ে থাকা। কোনও রকমে সময় কাটানো। সেই কাজে তাঁরা সফল। শিবশঙ্কর ৫২ রান করলেন। ন’নম্বরে নেমে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেন আব্দুল আজিজ কুরেশি। তাঁকে আউট করতে পারলেন না বাংলার বোলারেরা। ২৩ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি। ১১ নম্বরে নেমে কোনও রান না করলেও ২৪ বল খেললেন মুখতার হুসেন। এই জুটি আর ভাঙতে পারেননি বাংলার বোলারেরা। শেষ পর্যন্ত অসমের রান যখন ৯ উইকেটে ২৮২, তখন খেলা শেষ ঘোষণা করেন আম্পায়ারেরা। কারণ, তখন অসম ৪০ রানে এগিয়ে ছিল। অসমকে অল আউট করে রান তাড়া করার সময় আর বাংলার ছিল না। ফলে খেলা ড্র হয়। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকায় ৩ পয়েন্ট পায় বাংলা। অসম পায় ১ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:
দ্বিতীয় ইনিংসে হতাশ করলেন বাংলার বোলারেরা। শামি নিজের প্রথম দুই ওভারে ২ উইকেট নিয়েছিলেন। তার পর আরও ২৭ ওভার বল করলেন তিনি। একটিও উইকেট পেলেন না। বল যত পুরনো হল তত তাঁর ধার কমল। পিচে সুবিধা থাকায় এই ম্যাচে চার পেসার খেলিয়েছিল বাংলা। বাকি তিন পেসার সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল, মহম্মদ কাইফ ও ঈশান পোড়েলের হালও একই রকম। একমাত্র শাহবাজ় আহমেদ নজর কাড়লেন। ব্যাট হাতে শতরানের পর বল হাতে ৪ উইকেট নিলেন তিনি। আট বোলারকে ব্যবহার করেন অভিমন্যু। তার পরেও অসমের ৭ উইকেট ফেলতে পারেনি বাংলা।
রঞ্জির এলিট গ্রুপ সি-তে সবার নীচে রয়েছে অসম। সেই তাদের বিরুদ্ধেই সরাসরি জিততে পারল না বাংলা। এই ম্যাচে ৩ পয়েন্ট পাওয়ায় বাংলার পয়েন্ট হল পাঁচ ম্যাচে ২৩। এখনও গ্রুপে শীর্ষে রয়েছে তারা। তবে পরের দুই ম্যাচ কঠিন। ঘরের মাঠে সার্ভিসেস ও অ্যাওয়ে ম্যাচে হরিয়ানার বিরুদ্ধে খেলতে হবে। গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সার্ভিসেস। তিন নম্বরে হরিয়ানা। বাংলার থেকে ৪ পয়েন্ট কম সার্ভিসেসের। হরিয়ানা ৫ পয়েন্ট পিছিয়ে। ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে হলে দু’টি ম্যাচই খুব গুরুত্বপূর্ণ। অসমকে হারিয়ে আরও ৪ পয়েন্ট পেলে বাংলা বেশ ভাল জায়গায় থাকত। সেই সুযোগ হারালেন শামিরা।