Advertisement
E-Paper

আবার চোট শামির! দলীপে আর বলই করলেন না বাংলার পেসার, ব্যর্থ এশিয়া কাপের দলে থাকা এক স্পিনারও

দলীপ ট্রফি খেলতে গিয়ে আবার চোট পেয়েছেন মহম্মদ শামি। চতুর্থ দিন আর বল করেননি তিনি। শামির পাশাপাশি বাংলার আর এক পেসার মুকেশ কুমারও চোট পেয়েছেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৫ ১৮:১০
cricket

মহম্মদ শামি। দলীপ ট্রফিতে হতাশ করলেন বাংলার পেসার। ছবি: পিটিআই।

আরও এক বার চোট পেলেন মহম্মদ শামি। ২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের পর দীর্ঘ দিন চোটে ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন তিনি। চোট সারিয়ে ফিরলেও ছন্দ পাচ্ছিলেন না শামি। ফলে জাতীয় দলে জায়গা হারান। দলীপে ভাল খেললে হয়তো আবার সুযোগ পেতেন। সেই সুযোগ হারালেন শামি। খারাপ বল করার পাশাপাশি আবার চোট পেলেন বাংলার পেসার। এশিয়া কাপের দলে থাকা কুলদীপ যাদবও ব্যর্থ। দুই ইনিংস মিলিয়ে একটিও উইকেট পাননি তিনি।

উত্তরাঞ্চলের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিন শেষ দিকে আর মাঠে দেখা যায়নি শামিকে। তখনই জল্পনা শুরু হয়েছিল। চতুর্থ দিনও বল করলেন না তিনি। জার্সি পরে থাকলেও মাঠে নামেননি শামি। জানা গিয়েছে, গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন তিনি।

খেলা শেষে শামির চোটের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পূর্বাঞ্চলের অধিনায়ক রিয়ান পরাগ। তিনি বলেন, “ওর এক পায়ের জুতোর স্পাইকে অন্য পায়ের গোড়ালিতে চোট লেগেছে। সেই কারণে ও বল করতে পারেনি।” শামির চোট কতটা গুরুতর সেই বিষয়ে অবশ্য কিছু বলেননি পরাগ।

দলীপে প্রথম ইনিংসে ২৩ ওভার বল করে ১০০ রান দিয়েছিলেন শামি। নিয়েছিলেন মাত্র ১ উইকেট। ওভার প্রতি ৪.৩০ রান দিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ১১ ওভারে ৩৬ রান দিয়েছেন শামি। কোনও উইকেট পাননি। বাংলার আর এক পেসার মুকেশ কুমারও চোট পেয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ১৪.৫ ওভার বল করে ৫০ রান দিয়েছিলেন মুকেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকেও বল করতে দেখা যায়নি।

প্রথম ইনিংসে ৪০৫ রান করেছিল উত্তরাঞ্চল। জবাবে পূর্বাঞ্চল ২৩০ রানে অল আউট হয়ে যায়। উত্তরাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৬৫৮ রান করে ডিক্লেয়ার করে। পূর্বাঞ্চলের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করে তারা। অধিনায়ক অঙ্কিত কুমার ১৯৮ রান করেন। যশ ঢুল করেন ১৩৩ রান। আয়ুষ বাদোনি ২০৪ রানে অপরাজিত থাকেন। পূর্বাঞ্চল আর ব্যাট করতে নামেনি। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে সেমিফাইনালে উত্তরাঞ্চল।

অপর কোয়ার্টার ফাইনালে হতাশ করলেন মধ্যাঞ্চলের স্পিনার কুলদীপ যাদব। এশিয়া কাপের দলে রয়েছেন তিনি। তার আগে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মতো দুর্বল দলের বিরুদ্ধে দুই ইনিংসে উইকেট পেলেন না কুলদীপ। প্রথম ইনিংসে ২০ ওভারে ৫৫ রান দেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ১২ ওভারে দেন ৪২ রান। এশিয়া কাপের আগে তাঁর পারফরম্যান্স চিন্তায় রাখবে ভারতকে।

তাতে অবশ্য মধ্যাঞ্চলের সেমিফাইনালে উঠতে সমস্যা হয়নি। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটে ৫৩২ রান করে মধ্যাঞ্চল। দানিশ মালেওয়ার ২০৩ ও রজত পাটীদার ১২৫ রান করেন। জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৮৫ রানে অল আউট হয়ে যায় উত্তর-পূর্বাঞ্চল। দ্বিতীয় ইনিংসে মধ্যাঞ্চল ৭ উইকেটে ৩৩১ রান করে ডিক্লেয়ার করে। শুভম শর্মা করেন ১২২ রান। চতুর্থ ইনিংসে উত্তর-পূর্বাঞ্চল ৬ উইকেটে ২০০ রান করে। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকায় সেমিফাইনালে মধ্যাঞ্চল।

দলীপের সেমিফাইনালে দক্ষিণাঞ্চলের বিরুদ্ধে খেলবে উত্তরাঞ্চল। অন্য দিকে মধ্যাঞ্চল খেলবে পশ্চিমাঞ্চলের বিরুদ্ধে। ৪ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে দলীপের দু’টি সেমিফাইনাল।

Duleep Trophy Mohammed Shami Kuldeep Yadav
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy