শনিবার বৃষ্টিতে খেলা ভেস্তে গেলে প্লে-অফের আশা শেষ কেকেআরের, বেঙ্গালুরুর পূর্বাভাস কী?

শনিবার আইপিএলের প্রত্যাবর্তন। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যা ভেস্তে দিতে পারে আইপিএলের প্রত্যাবর্তন। কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচের সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে গেলে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাবে কেকেআর। প্লে-অফে যাওয়ার দৌড়ে থাকতে হলে গত বারের চ্যাম্পিয়নদের দু’টি ম্যাচই জিততে হবে। ফলে বৃষ্টির সম্ভাবনা চিন্তায় রাখবে কেকেআর শিবিরকে। ১২ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কলকাতা। শেষ দু’টি ম্যাচ জিতলে ১৫ পয়েন্টে পৌঁছতে পারবে তারা। কিন্তু শনিবার বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে গেলে ১ পয়েন্ট পাবে কলকাতা। তাতে সর্বোচ্চ ১৪ পয়েন্টে পৌঁছতে পারবে তারা। গুজরাত (১৬), বেঙ্গালুর (১৬), পঞ্জাব (১৫) ইতিমধ্যেই ১৪ পয়েন্টের বেশি পেয়ে গিয়েছে। মুম্বই ১৪ এবং দিল্লি ১৩ পয়েন্টে রয়েছে। এই দুই দলের খেলা বাকি। সেই ম্যাচে যারা জিতবে তারা ১৪ পয়েন্টের বেশি পেয়ে যাবে। এমনকি সেই ম্যাচ যদি না-ও হয়, তা হলেও মুম্বইয়ের পয়েন্ট ১৫ হয়ে যাবে। ফলে শনিবার না জিততে পারলে কেকেআরের পক্ষে কোনও ভাবেই প্রথম চারে থাকা সম্ভব নয়।

বেশ কিছু দিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে। শনিবারও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সকালে বৃষ্টি না হলেও আকাশে কালো মেঘ রয়েছে। সন্ধে ৭টায় টস হওয়ার কথা আরসিবি-কেকেআর ম্যাচের। খেলা শুরু হওয়ার কথা ৭.৩০ মিনিটে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৪৯ শতাংশ। সময় যত এগোবে, বৃষ্টির সম্ভাবনা তত বৃদ্ধি পাবে। রাত ৮টায় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬৩ শতাংশ। রাত ৯টায় সেটা বেড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৭১ শতাংশ। রাত ১০টার পর বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। সেই সময় ৪০ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পর আরও কিছুটা কমবে বৃষ্টির সম্ভাবনা। আবহবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী রাত ১১টায় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৩৪ শতাংশ।

পুরো ৪০ ওভার খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী অন্তত ৫ ওভার করে দু’টি ইনিংস না হলে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হিসাবে গণ্য হয় না। আশায় রেখেছে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো। দেশের অন্যতম সেরা নিকাশি ব্যবস্থা রয়েছে এই মাঠে। দ্রুত জল নেমে যায় মাঠ থেকে। বৃষ্টি থামার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে খেলা শুরু করে দেওয়া যায়। আবার এ কথাও সত্যি ইডেনের মতো গোটা মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা চিন্নাস্বামীতে নেই।