বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা নেই। তাঁদের ছাড়াই ইংল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ় খেলবে ভারত। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় দলের ব্যাটিং লাইন আপ কেমন হওয়া উচিত? শুভমন গিলের দলের টপ অর্ডার বেছে দিয়েছেন চেতেশ্বর পুজারা।
ইংল্যান্ডের মাটিতে ১৬টি টেস্ট খেলেছেন পুজারা। কয়েক বছর কাউন্টি ক্রিকেটও খেলেছেন। সে দেশের আবহাওয়া, পিচের চরিত্র সব কিছুই জানেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় দলের প্রথম চার ব্যাটার বেছে দিয়েছেন। পুজারা বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার-গাওস্কর সিরিজ়ে যশস্বী জয়সওয়াল এবং লোকেশ রাহুল ইনিংস শুরু করেছিল। ওদের জুটি রান পেয়েছিল। ইংল্যান্ডেও এই ওপেনিং জুটি খেলানো উচিত। তিন এবং চার নম্বর জায়গা নিয়ে একটু ভাবতে হবে। শুভমন আগের মতো তিন নম্বরেই খেলবে না চার নম্বরে নামবে আমরা জানি না।’’
শুভমন যেখানেই খেলুন প্রথম চার ব্যাটারের আরেক জন কে হতে পারেন? পুজারা বলেছেন, ‘‘আমি চাইব তিন নম্বরে শুভমনই খেলুক। আর চার নম্বরে করুণ। এ বার রঞ্জি ট্রফিতে প্রচুর রান করেছে করুণ। ভাল ফর্মে রয়েছে।’’ কিন্তু শুভমন নিজে কোহলির ছেড়ে যাওয়া চার নম্বরে খেললে? পুজারা বলেছেন, ‘‘শুভমন চার নম্বরে খেললে তিন নম্বরে ঈশ্বরণের কথা ভাবা যেতে পারে। সাই সুদর্শনও আছে। এক জনকে বেছে নিতে হবে।’’
পুজারার মতে ইংল্যান্ডে দলকে নেতৃত্ব দিতে শুভমনের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ ২০২১ এবং ২০২৩ সালে টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছেন শুভমন। ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও টেস্ট খেলেছেন। তা ছাড়া গ্ল্যামারগনের হয়ে কাউন্টি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অর্থাৎ, ইংল্যান্ডের পরিবেশ এবং পিচ শুভমনের অপরিচিত নয়। পুজারা বলেছেন, ‘‘ইংল্যান্ডে পৌঁছে প্রস্তুতি শুরু করলেই শুভমন বুঝতে পারবে, নতুন বলে কোন শটগুলো খেলা যেতে পারে। নতুন বলে কোন শটগুলো খেলা উচিত হবে না, সেটাও বুঝতে পারবে। বল কখন কেমন এবং কতটা সুইং করছে তাও বুঝতে পারবে। অনেকটা অস্ট্রেলিয়ার মতোই। প্রথম ২৫-৩০ ওভার একটু সাবধানে খেলা দরকার।’’
শুভমনকে আরও কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ১০৩টি টেস্ট খেলা ব্যাটার। পুজারা বলেছেন, ‘‘বল পুরনো হয়ে গেলে অনেক বেশি শট খেলা যায়। তিন-চার নম্বরের ব্যাটারদের এই বিষয়টা মনে রাখা দরকার। এক বা দুটো উইকেট তাড়াতাড়ি পড়ে গেলে এক রকম ভাবে খেলতে হবে। আবার ওপেনারেরা ভাল জুটি তৈরি করলে আর এক রকম ভাবে খেলা যেতে পারে। পরিস্থিতি বুঝে ব্যাট করতে হয়। শুভমন ভাল ভাবেই সামলাতে পারবে। ও যথেষ্ট দক্ষ। সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। ইংল্যান্ডে গেলে নিজেই বুঝতে পারবে সব কিছু।’’
আগামী ২০ জুন হেডিংলেতে শুরু হবে ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট। আইপিএলের পরই লাল বলের ক্রিকেটের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। এই সিরিজ় দিয়েই ২০২৫-২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অভিযান শুরু করবে ভারতীয় দল।