আইপিএলের প্লে-অফে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আরও এক বার ট্রফির কাছাকাছি বিরাট কোহলি। ক্রিকেটের পাশাপাশি তাঁর মন মজেছে অন্য একটি খেলায়। নতুন পেশাদার লিগের ‘স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টর’ হয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন কোহলি।
শুরু হচ্ছে ওয়ার্ল্ড বোলিং লিগ (ডব্লিউবিএল)। পেশাদার প্রতিযোগিতার প্রথম বছর থেকেই যুক্ত হলেন কোহলি। ক্রীড়াজগতে কোহলির জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে চাইছে ডব্লিউবিএল। ‘স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টর’ বা কুশলী পরামর্শদাতা হিসাবে বোলিংয়ের প্রসার এবং প্রচার করবেন কোহলি। পরিকাঠামো উন্নয়নেও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। খেলাটিকে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করবেন। এই খেলার সঙ্গে ক্রিকেটের বোলিংয়ের অবশ্য সরাসরি সম্পর্ক নেই।
ডব্লিউবিএল শুরু হচ্ছে লিগ স্পোর্টস কোম্পানির উদ্যোগে। সংস্থার সিইও আদি কে মিশ্র বলেছেন, ‘‘সর্বোচ্চ মানের বোলিং চ্যালেঞ্জে ভরা একটা জগৎ। কোহলি বোলিং করতে পারে জানার পরই ওকে ডব্লিউবিএলের সঙ্গে যুক্ত করার ভাবি। খেলাধুলো নিয়ে কোহলির আগ্রহ তুলনাহীন। আমরা সেই আগ্রহকে কাজে লাগাতে চাই। বোলিংয়ের বিশ্বব্যাপী উন্নতি এবং আকর্ষণই আমাদের লক্ষ্য। বোলিং খেলাটা একটা ঘুমন্ত দৈত্যের মতো। আমরা তাকে জাগিয়ে তুলতে চাই।’’
ডব্লিউবিএলের ‘স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টর’ হিসাবে চুক্তিবদ্ধ হতে পেরে খুশি কোহলি। তিনি বলেছেন, ‘‘১১ বছর বয়সে প্রথম বোলিং শুরু করি। ১২ বছর বয়স থেকে স্পিন করাতে পারি। ব্যবসায়িক ভাবে জনপ্রিয় করার যথেষ্ট সুযোগ থাকলেও খেলাটি যথেষ্ট অবহেলিত হয়েছে। বোলিংকে তুলে আনার জন্য আদি কে মিশ্রের দৃষ্টিভঙ্গি এবং উদ্যোগ বেশ অভিনব। ই ওয়ান স্পোর্টসের সাফল্য আমাকে দারুণ উৎসাহিত করেছে। এ বার ডব্লিউবিএলের অংশীদার হতে পেরে খুব ভাল লাগছে।’’
আরও পড়ুন:
বিশ্বের প্রথম সারির বোলিং খেলোয়াড় এবং দলগুলির কর্তৃপক্ষ নতুন এই প্রতিযোগিতা নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমেরিকার একাধিক বোলিং ক্লাবও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মিশ্রর আশা, কোহলি প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় ভারতেও দ্রুত জনপ্রিয়তা পাবে খেলাটি।