যুজবেন্দ্র চহাল এবং ধনশ্রী বর্মার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন। বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলার শেষ শুনানি। দু’জনেই এসেছিলেন আদালতে। একটি বিশেষ টি-শার্ট পরে এসেছিলেন চহাল। তাঁর সেই টি-শার্ট ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা।
চহাল এবং ধনশ্রীর বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে সমাজমাধ্যমে আলোচনা কম হয়নি। দু’জনেই পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন। তবু বিবাহবিচ্ছেদের মামলার শেষ শুনানির দিন চহালের টি-শার্ট নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে। তাঁর কালো টি-শার্টে সাদা রঙে লেখা ছিল, ‘‘নিজেই নিজের সুগার ড্যাডি হও।’’ চহালের টি-শার্টের লেখা ইঙ্গিতপূর্ণ। প্রাক্তন স্ত্রীর উদ্দেশে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। চহাল হয়তো প্রাক্তন স্ত্রীকে বলতে চেয়েছিলেন, নিজের আর্থিক ব্যবস্থা নিজেই করে নাও। পরে চহাল জল্পনা নিয়ে মুখও খুলেছেন।
ভারতীয় দলের লেগ স্পিনার বলেছেন, ‘‘বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে কোনও নাটক করতে চাইনি। আমি শুধু একটা বার্তা দিতে চেয়েছিলাম। সেটাই দিয়েছি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘উল্টো দিক থেকে অনেক কিছু বলা হচ্ছিল। প্রথম দিকে কোনও উত্তর দিতে চাইনি। কিন্তু থামার কোনও লক্ষণ দেখছিলাম না। একটা সময় মনে হয়, যথেষ্ট হয়েছে। আমার আর কাউকে নিয়ে ভাবার দরকার নেই। কাউকে দোষারোপ করতে চাইনি। শুধু একটা বার্তা দিতে চেয়েছি।’’ চহাল সরাসরি না বললেও বুঝিয়ে দিয়েছেন, খোরপোশ নিয়ে ধনশ্রীর অযৌক্তিক দাবিতে তিনি বিরক্ত।
আরও পড়ুন:
খোরপোশ বাবদ ধনশ্রীকে ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা দিতে হচ্ছে চহালকে। খোরপোশের পরিমাণ নিয়ে দু’জনের মধ্যে আইনি লড়াই হয়েছে। শোনা গিয়েছিল, খোরপোশ বাবদ ধনশ্রী নাকি ৬০ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন। যদিও তাঁর পরিবার থেকে তা অস্বীকার করা হয়। তবে ধনশ্রী বেশ মোটা অঙ্কের খোরপোশ দাবি করেছিলেন। যা চহাল দিতে রাজি ছিলেন না। ধনশ্রীর আর্থিক চাহিদা নিয়ে প্রথম থেকেই বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ ছিলেন ভারতীয় দলের লেগ স্পিনার। শেষ পর্যন্ত আদালতের হস্তক্ষেপে খোরপোশের মীমাংসা হয়।