তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে রিভিউয়ের নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুক্রবারের ম্যাচে পাকিস্তানের জয়ের পথে বাধা হয় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। যা নিয়ে হতাশ পাক সমর্থকেরা। নিয়ম অনুযায়ী মাঠের আম্পায়ারের দেওয়া সিদ্ধান্ত পুরোপুরি নাকচ করা না গেলে তৃতীয় আম্পায়ার সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রযুক্তি নিয়ে।
একটা সময় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ছিল এলবিডব্লিউ-র ক্ষেত্রে। ১৯৯২ সালে তৃতীয় আম্পায়ারের নিয়ম আসে। তখন শুধু রান আউট দেখা হত। পরে আসে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস)। যেখানে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ঠিক মনে না হলেও তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যাওয়া যায়। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে তিনি দেখেন, সিদ্ধান্ত ঠিক আছে কি না। কিন্তু তার পরেও মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত প্রাধান্য দেওয়া হয়। সেটাই মেনে নিতে পারছেন না অনেকে।
শুক্রবার পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ২৭০ রান করে। জবাবে ১ উইকেটে ম্যাচ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ৪৬তম ওভারের শেষ বলের একটি ঘটনার প্রভাব পড়ল ম্যাচের ফলাফলে। বল করছিলেন পাকিস্তানের হ্যারিস রউফ। ব্যাট করছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার তাবরেজ শামসি। সেই বল শামসির প্যাডে লাগে। মাঠের আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নেন বাবর আজ়ম। সেখানে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পে লাগতে পারত। কিন্তু বেশির ভাগটা বাইরে ছিল। তাই নিয়ম অনুযায়ী মাঠের আম্পায়ারের দেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল রাখতে হয় তৃতীয় আম্পায়ারকে। তাই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। পাকিস্তানের সমর্থকেরা এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না কারণ ওই সময় উইকেট পেলে ম্যাচটাই জিতে যেতেন বাবরেরা। ওই আউটটি না হওয়ায় সুবিধা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। তারা ম্যাচ জিতে নেয় এক উইকেটে।
ভারতের প্রাক্তন স্পিনার হরভজন সিংহ সমাজমাধ্যমে লেখেন, “বল স্টাম্পে লাগলে সেটা অবশ্যই আউট। এমনটা তো ভারতের সঙ্গেও হতে পারে। আইসিসি-র উচিত মাঠের আম্পায়ার অথবা প্রযুক্তি যে কোনও একটাকে বেছে নেওয়া। এক জন আউট বলছে আর অন্য জন নট আউট বলছে, এটা হতে পারে না।”
পাক অধিনায়ক বাবর যদিও এই আউট নিয়ে কোনও বিতর্কে যেতে রাজি নন। তিনি বলেন, “এটা তো খেলার অঙ্গ। আম্পায়ার যদি আউট দিতেন তাহলে আমাদের পক্ষে যেত। আমাদের তো এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতেই হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy