এক জনের বয়স ১৪ বছর। বৈভব সূর্যবংশী। এ বারের আইপিএলের অন্যতম চমক। টি-টোয়েন্টিতে সর্বকনিষ্ঠ হিসাবে শতরান করেছে। ক্রিকেটবিশ্বের নজর রয়েছে রাজস্থান রয়্যালসের এই ব্যাটারের দিকে। অন্য জনের বয়স ১৭ বছর। আয়ুষ মাত্রে। তিনিও এ বারের আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে নজর কেড়েছেন। আয়ুষকে একটি বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন তাঁর পিতা যোগেশ। বৈভবকে নকল না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
দু’জনেই ভারতীয় ক্রিকেটে উঠতি প্রতিভা। তবে বৈভবকে নিয়ে যতটা সাড়া পড়েছে আয়ুষকে নিয়ে তা হয়নি। যোগেশ চান, তাঁর পুত্র শুধু মন দিয়ে খেলুক। অন্য দিকে তাকাতে গিয়ে পুত্রের মনঃসংযোগ নষ্ট হোক, এমনটা চান না তিনি। যোগেশ বলেছেন, “আমি আয়ুষকে বলেছি, ও আর বৈভব দু’জন সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের ব্যাটার। বৈভব বাঁহাতি। আয়ুষ ডানহাতি। তাই যদি কেউ ওকে বৈভবের সঙ্গে তুলনা করে তা হলে ওকে মাথা ঘামাতে নিষেধ করেছি। ওকে বলেছি, বৈভবকে নকল করে শতরান করতে যেয়ো না। আমার মনে হয়, এখন নিজের উপর চাপ নেওয়ার কোনও দরকারই নেই আয়ুষের। এখনও অনেক পথচলা বাকি।”
চেন্নাইয়ে ধোনির নজরে রয়েছেন আয়ুষ। এতে তাঁর ক্রিকেট আরও উন্নত হবে বলে মনে করেন যোগেশ। ধোনি তাঁর পুত্রের খেলার প্রশংসা করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। যোগেশ বলেছেন, “ধোনি ওকে বলেছেন, ‘ভাল খেলেছ। পরের ম্যাচগুলোতেও এই ভাবেই খেলতে হবে।’ ধোনির মতো এক ক্রিকেটারের কাছে এই প্রশংসা কম নয়। আমার মনে হয়, ধোনি আয়ুষের প্রতিভা দেখেছেন। আয়ুষের উপর বিশ্বাস রাখছেন। এই বিশ্বাসের দাম আয়ুষ ঠিক দেবে।”
আরও পড়ুন:
এ বারের আইপিএলের আগেই নিলামে চমক দিয়েছিল বৈভব। ১৪ বছরেই কোটিপতি ক্রিকেটার হয়েছিল সে। প্রথম কয়েকটি ম্যাচে সুযোগ না পেলেও সঞ্জু স্যামসন চোট পাওয়ার পর থেকে নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছে সে। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ৩৫ বলে শতরান করেছে বৈভব। কিন্তু বাকি ম্যাচে সে ভাবে খেলতে পারেনি। শতরানের পর দু’টি ম্যাচে দু’বলে আউট হয়েছে। পাঁচটি ম্যাচে ১৫৫ রান করেছে বৈভব। ৩১ গড় ও ২০৯.৪৫ স্ট্রাইক রেটে রান করেছে সে। তবে ধারাবাহিকতা এখনও শিখতে হবে বৈভবকে।
গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
অন্য দিকে আয়ুষকে আইপিএলের মাঝপথে নিয়েছে চেন্নাই। রুতুরাজ গায়কোয়াড় ছিটকে যাওয়ার পর পরিবর্ত হিসাবে এসেছে এ বারের রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বইয়ের হয়ে ভাল খেলা আয়ুষ। মাত্র চারটি ম্যাচেই নিজের প্রতিভা দেখিয়েছেন তিনি। ১৬৩ রান করেছেন। ৪০.৭৫ গড় এবং ১৮৫.২২ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ৪৮ বলে ৯৪ রান করেছেন তিনি। আর একটু হলেই দলকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন। পারেননি। তবে ভরসা দিয়েছেন। সেই আয়ুষ পরামর্শ পেয়েছেন পিতার কাছে।