সন্দীপ লামিছানে। —ফাইল চিত্র।
ধর্ষণের অভিযোগে দোযী সাব্যস্ত হয়েছিলেন নেপালের প্রাক্তন অধিনায়ক সন্দীপ লামিছানে। নিম্ন আদালত তাঁখে ৮ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন লামিছানে। সেখানে তাঁকে সব অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
হাই কোর্টের নির্দেশ স্বাগত জানিয়েছেন লামিছানের আইনজীবীরা। এক আইনজীবী বলেন, “ওকে ছাড়তেই হত। সেটাই হয়েছে। ওর কোনও দোষ ছিল না। ওকে ফাঁসানো হয়েছে। উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সেই নির্দেশ খারিজ হয়েছে। মাঝে দু’বছর ধরে হেনস্থা হল লামিছানের।”
আদালতে হাজির ছিলেন লামিছানে। বিচারপতির নির্দেশের পরে অবশ্য তিনি কিছু বলেননি। আদালত চত্বরে ছিলেন লামিছানের সমর্থকেরাও। ঢাকঢোল পিটিয়ে আনন্দ করতে দেখা যায় তাঁদের।
২৩ বছর বয়সি লামিছানে লেগ স্পিনার। নেপালের প্রাক্তন অধিনায়ক তিনি। ২০১৮ সালে আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (এখন দিল্লি ক্যাপিটালস) দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। নেপাল থেকে তিনিই প্রথম ক্রিকেটার যিনি আইপিএল খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। লামিছানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, তিনি ১৮ বছর বয়সি একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন। নিম্ন আদালতে তা সত্যি প্রমাণিত হয়। আট বছরের জন্য জেল হয় লামিছানের।
আদালতের নির্দেশের পরেই নেপাল ক্রিকেট সংস্থা লামিছানেকে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বরখাস্ত করে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য নেপাল ক্রিকেট সংস্থা যে ১৫ জনের দল ঘোষণা করেন সেখানেও ছিলেন না লামিছানে। এই ঘটনায় ভেঙে পড়েন তিনি। সমাজমাধ্যমে লামিছানে লেখেন, “বড় পোস্ট লিখছি না। আমি চক্রান্তের শিকার। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যারা এই চক্রান্ত করেছে, ঈশ্বর তাদের মঙ্গল করুক। আমি সব কিছু ঈশ্বরের উপর ছেড়ে দিয়েছি। সময়ে সব সত্যি জানা যাবে।” আরও একটি পোস্ট করে লামিছানে লেখেন, “আইনকে সম্মান করি। কিন্তু প্রতিজ্ঞা করছি এক দিন সব চক্রান্তকারীর নাম ফাঁস করে দেব। এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত, সকলের নাম ফাঁস করব।”
এ বার মুক্তি পেলেন লামিছানে। ২৫ মে পর্যন্ত বিশ্বকাপের দলে বদল করার সুযোগ পাবে নেপাল। চাইলে লামিছানেকেও দলে নিতে পারে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy