তিন বছর আগের অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর অভিনয় জগতে ঢুকেছিলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক। ২০২২ সালে শুটিংয়ের সময় দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন ফ্লিনটফ। সেই সময় তাঁর মনে হয়েছিল, মরে গেলে বেঁচে যাবেন তিনি।
শীঘ্রই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ফ্লিনটফকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র মুক্তি পাবে। তার আগে একটি সাক্ষাৎকারে পুরনো দিনের কথা ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। ২০২২ সালে ‘টপ গিয়ার’ নামের একটি ছবির শুটিংয়ে মরগ্যান সুপার ৩ নামের একটি তিন চাকার গাড়ি চালাচ্ছিলেন ফ্লিনটফ। গাড়িটি সর্বাধিক ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটার গতিবেগে চলতে পারে। গাড়ি চালানোর সময় তা পাল্টি খেয়ে যায়। মাথায় হেলমেট পরে থাকলেও গুরুতর জখম হন ফ্লিনটফ।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়কের মাথায় বড় চোট লেগেছিল। তাঁর পাঁজরের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। আরও অনেক জায়গায় গুরুতর চোট লেগেছিল। বেশ কিছু দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেই সময় তিনি ভেবেছিলেন, আর সুস্থ হতে পারবেন না। ফ্লিনটফ বলেন, “দুর্ঘটনার পরে আমার মনে হয়েছিল, আর সুস্থ হতে পারব না। আর কোনও দিন স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব না। এত যন্ত্রণা হত যে মনে হত, মরে গেলে বেঁচে যাই। মনে হত, এ ভাবে বেঁচে থাকার থেকে মরে যাওয়াই ভাল।”
আরও পড়ুন:
ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ফ্লিনটফ। এখন টেলিভিশন ও রেডিয়োতে উপস্থাপকের কাজ করেন তিনি। ইংল্যান্ডের হয়ে ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত খেলেছেন তিনি। ক্রিকেটের তিনটি ফরম্যাটই খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। ৭৯টি টেস্টে ৩৮৪৫, ১৪১টি এক দিনের ম্যাচে ৩৩৯৪ ও সাতটি টি-টোয়েন্টিতে ৭৬ রান করেছেন তিনি। টেস্টে ২২৬, এক দিনের ম্যাচে ১৬৯ ও টি-টোয়েন্টিতে পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ক্রিকেট ছাড়ার পরে পেশাদার বক্সার হিসাবেও একটি ম্যাচ খেলেছেন ফ্লিনটফ।