মহিলাদের বিশ্বকাপে প্রথম দু’টি ম্যাচ জিতে শুরুটা ভাল করলেও পরের দু’টি ম্যাচ হেরে চাপে পড়েছে ভারত। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গেলে রবিবার ইংল্যান্ডকে হারাতেই হবে হরমনপ্রীত কৌরদের। সেই ম্যাচে আবার ডোবাল ভারতের বোলিং। অতিরিক্ত একজন বোলার খেলিয়েও বিশেষ লাভ হল না। প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে তুলেছে ২৮৮ রান।
ভারতের পিচে যেখানে বোলারেরা বেশি সাফল্য পাচ্ছেন, সেখানে প্রথম চারটি ম্যাচে মাত্র পাঁচ জন বোলার খেলানোয় সমালোচিত হয়েছিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হয়েছিল স্রেফ একটা বাড়তি বোলার না থাকার জন্যই। তাই এ দিন জেমাইমা রদ্রিগেসকে বসিয়ে রেণুকা সিংহকে খেলায় ভারত।
রেণুকাই বোলিং শুরু করেন। প্রথম বলেই ক্যাচের আবেদন করেছিলেন। তবে নো বল হওয়ায় এমনিতেই লাভ হত না রিভিউ নিয়ে। পরের বলেই চার মেরে ইংল্যান্ডের রণনীতি স্পষ্ট করে দেন ট্যামি বিউমন্ট। পাওয়ার প্লে-তে ইংরেজ ব্যাটারদের আগ্রাসী হতে দেননি ভারতের বোলারেরা। তবে উইকেটও পাননি।
জলপানের বিরতির পর বিউমন্টকে (২২) ফেরান দীপ্তি শর্মা। আটকানো যাচ্ছিল না অ্যামি জোন্সকে। ভারতীয় বোলারদের শাসন করে ধারাবাহিক ভাবে রান করে যাচ্ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সেই দীপ্তিকেই আসরে নামতে হয়। ৫৬ করে ফেরেন জোন্স।
ইংল্যান্ডের সেরা দুই ব্যাটার ক্রিজ়ে নেমেছিলেন। তাঁদের আটকাতে নাজেহাল হতে হল ভারতীয় বোলারদের। অতিরিক্ত একজন বোলার খেলালেও যদি তাঁরা ঠিকঠাক জায়গায় বল না রাখতে পারেন, বলে গতি এবং নিয়ন্ত্রণ না থাকে তা হলে যে কোনও লাভ হয় না তা স্পষ্ট হয়ে গেল এ দিনও। হিদার নাইট এবং ন্যাট শিভার-ব্রান্টের রান করতে সমস্যাই হচ্ছিল না। অনায়াসে খেলছিলেন ভারতের বোলারদের। নাইটই আক্রমণ করছিলেন। শিভার-ব্রান্ট ধরে খেলছিলেন।
আরও পড়ুন:
দু’জনের ১১৩ রানের জুটি ভাঙে ৩৯তম ওভারে। শ্রী চরণী ফেরান শিভার-ব্রান্টকে (৩৮)। তবে নাইটকে থামানো যায়নি। তিনি শতরান করেন ৪৫তম ওভারে। মহিলাদের বিশ্বকাপে তাঁর এটি তৃতীয় শতরান। তার পরেই আউট হন নাইট (১০৯)।
শেষ বেলায় পর পর কয়েকটি উইকেট ফেলে ভারত। সোফিয়া ডাঙ্কলে (১৫), এমা ল্যাম্ব (১১), অ্যালিস ক্যাপসে (২), সোফি একলেস্টোন (৩) খেলতে পারেননি। যে ইংল্যান্ডের রান এক সময় ৩৫০-য় পৌঁছে যাবে মনে হচ্ছিল, তাদের ইনিংস শেষ হয় ২৮৮ রানে।