ঘরের মাঠে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় চাপ বেড়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। তবে আইপিএলের প্লে-অফ খেলার আশা এখনও শেষ হয়ে যায়নি গত বারের চ্যাম্পিয়নদের। অজিঙ্ক রাহানেদের হাতে রয়েছে আর পাঁচটি ম্যাচ।
শনিবারের পর ন’ম্যাচে কেকেআরের পয়েন্ট ৭। আইপিএলের পয়েন্ট টেবলে সপ্তম স্থানে রয়েছেন রাহানেরা। লিগ পর্বে বাকি পাঁচটি ম্যাচের আগে কেকেআরের এখন মরণবাঁচন পরিস্থিতি। বাকি সব ম্যাচ জিতলে কেকেআর সর্বোচ্চ ১৭ পয়েন্টে পৌঁছোতে পারে। সাধারণত ১৬ পয়েন্ট পেলে আইপিএলের প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন করা যায় চতুর্থ দল হিসাবে। যদিও অনেক ক্ষেত্রে বিচার্য হয় নেট রান রেট। সেই হিসাবে রাহানেদের আর কোনও ম্যাচ হারলে হবে না।
বাকি পাঁচটি ম্যাচের চারটি জিতলে এবং একটি হারলে কেকেআরের পয়েন্ট হবে ১৫। তাতেও অবশ্য সম্ভাবনা থাকবে। সে ক্ষেত্রে রাহানেদের তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলির ফলের দিকে। বিশেষ করে পঞ্জাব কিংস, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং লখনউ সুপার জায়ান্টসের ফলের উপর নির্ভর করবে কেকেআরের প্লে-অফ ভাগ্য। এই তিন দলকেই তাদের বাকি ম্যাচগুলিতে পয়েন্ট নষ্ট করতে হবে। ন’টি ম্যাচ খেলে পঞ্জাবের সংগ্রহ ১১ পয়েন্ট। সম সংখ্যক ম্যাচে মুম্বই এবং লখনউয়ের ঝুলিতে রয়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
পঞ্জাব বাকি পাঁচটি ম্যাচের তিনটি জিতলেই পৌঁছে যাবে ১৭ পয়েন্টে। চারটি ম্যাচ জিতলে শ্রেয়স আয়ারেরা ১৯ পয়েন্ট পেয়ে প্লে-অফে নিশ্চিত হয়ে যাবেন। অন্য দিকে, মুম্বই এবং লখনউ বাকি পাঁচটি ম্যাচের তিনটি করে জিতলেই পৌঁছে যাবে ১৬ পয়েন্টে। তাই এই তিন দলের বাকি ম্যাচগুলির উপর অনেকটা নির্ভর করছে রাহানেদের ভাগ্য।
কেকেআরের সুবিধা হল, বাকি ম্যাচটি ম্যাচের তিনটি তারা খেলবে পয়েন্ট টেবলের শেষ তিনটি জায়গায় থাকা চেন্নাই সুপার কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ তুলনায় সহজ প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাবেন নাইটেরা। তার আগে ২৯ এপ্রিল অ্যাওয়ে ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হতে হবে কেকেআরকে। এই ম্যাচ জিততে পারলে তবেই প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন রাহানেরা। অক্ষর পটেলদের কাছে হেরে গেলে, কেকেআরের বিদায় এক রকম নিশ্চিত হয়ে যাবে। আবার লিগ পর্বে কেকেআরের শেষ ম্যাচ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে। এটিও অ্যাওয়ে ম্যাচ। ঘরের মাঠে বিরাট কোহলিদের সাফল্য খুব বেশি নয়, যা আশায় রাখতে পারে কেকেআর শিবিরকে।
আরও পড়ুন:
কেকেআরের বাকি ম্যাচ: ২৯ এপ্রিল দিল্লি ক্যাপিটালস (অ্যাওয়ে), ৪ মে রাজস্থান রয়্যালস (হোম), ৭ মে চেন্নাই সুপার কিংস (হোম), ১০ মে সানরাইরার্জ হায়দরাবাদ (অ্যাওয়ে) এবং ১৭ মে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (অ্যাওয়ে)।