আইপিএলের পাশাপাশি ২০০৮ সালে শুরু হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি২০। আইপিএল ১৮ বছরে পৌঁছে গেলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি২০ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ২০১৪ সালেই। ১২ বছর পর আবার শুরু হতে চলেছে সেই প্রতিযোগিতা। তবে তার ‘পথের কাঁটা’ হয়ে উঠেছে আইপিএলই।
আইসিসি-র বার্ষিক সভায় এই প্রতিযোগিতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি২০ অনেকটা ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো। বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি লিগের চ্যাম্পিয়ন দল এই প্রতিযোগিতায় খেলে। কোনও একটা দেশের নয়, বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি দল হওয়ার সুযোগ থাকে তাদের কাছে।
সূত্রের খবর, ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি২০। তার আগে মে মাসে শেষ হবে আইপিএল। বিশ্বের বাকি দেশের লিগও সেই সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। ফলে সেখান থেকে সেরা দল বেছে নেওয়া যাবে। এখন বিশ্বে লিগের সংখ্যা প্রচুর। ফলে সব লিগের দলকেই সুযোগ দেওয়া হবে, না কি নির্দিষ্ট কিছু লিগকে বেছে নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পুরোটাই আলোচনার স্তরে রয়েছে।
আরও পড়ুন:
এই প্রতিযোগিতার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আইপিএল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লিগ চললেও তার মধ্যে অনেক দলেরই মালিক আইপিএলের দলগুলো। যেমন, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মালিক মুকেশ অম্বানীর দক্ষিণ আফ্রিকা, আবু ধাবি ও আমেরিকার লিগেও দল রয়েছে। একই অবস্থা লখনউ সুপার জায়ান্টসের সঞ্জীব গোয়েন্কা, এন শ্রীনিবাসনের চেন্নাই সুপার কিংসের। ফলে যদি একই মালিকের একাধিক দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলে তা হলে একটা সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি অনেক ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁরা এক ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির বিভিন্ন দলে খেলেন। ফলে সেই সব দল মুখোমুখি হলে তাঁরা কার হয়ে খেলবেন? এই সব সমস্যা রয়েছে। আইপিএলের জেরেই চাপে পড়ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি২০।
২০০৮ সালে এই প্রতিযোগিতা শুরু হলেও সে বার মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার ফলে ফাইনাল খেলা হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ২০১০ ও ২০১২ সালে প্রতিযোগিতা দক্ষিণ আফ্রিকায় হয়েছে। বাকি মরসুমে হয়েছে ভারতে। ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ব্লুজ় ও ২০১২ সালে সেই দেশেরই সিডনি সিক্সার্স চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বাকি চার বার জিতেছে আইপিএলের দুই দল। ২০১০ ও ২০১৪ সালে চেন্নাই সুপার কিংস এবং ২০১১ ও ২০১৩ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স জিতেছিল এই প্রতিযোগিতা।