সাদা বলের ক্রিকেটে ফিরতেই আবার ছন্দে শ্রেয়স আয়ার। কয়েক দিন আগে ভারত ‘এ’ দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের আগে সরে গিয়েছিলেন। তবে এক দিনের ম্যাচ খেলতে সমস্যা হল না শ্রেয়সের। শতরান করলেন তিনি। শতরান করলেন যুবরাজ সিংহের ছাত্র প্রিয়াংশ আর্য। যুবরাজের আর এক ছাত্র প্রভসিমরন সিংহও ভাল খেললেন। ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে ১৭১ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতল ভারত।
কানপুরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪১৩ রান করে ভারত ‘এ’। দুই ওপেনার প্রিয়াংশ ও প্রভসিমরন ভাল শুরু করেন। আইপিএলে পঞ্জাব কিংসের হয়ে ওপেন করেন তাঁরা। ফলে একটা বোঝাপড়া রয়েছে দুই ক্রিকেটারের মধ্যে। এই ম্যাচেও সেটা দেখা গেল। অভিষেক শর্মা ও শুভমন গিলের পর এই দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে রয়েছেন যুবরাজ। তাঁর প্রভাব দুই ব্যাটারের মধ্যে দেখা গেল।
শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাট করছিলেন প্রিয়াংশ ও প্রভসিমরন। অস্ট্রেলিয়ার বোলারেরা তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারছিলেন না। দু’জনেই অর্ধশতরান করেন। ৫৬ রানের মাথায় আউট হন প্রভসিমরন। ওপেনিংয়ে ১৩৫ রানের জুটি বাঁধেন তাঁরা।
তিন নম্বরে নামেন শ্রেয়স। আইপিএলে পঞ্জাবের অধিনায়ক তিনি। অর্থাৎ, তিনিও প্রিয়াংশের সঙ্গে অনেক ব্যাট করেছেন। তার সুবিধা তোলেন দুই ব্যাটার। প্রিয়াংশ ৮৩ বলে শতরান করেন। ১১টি চার ও পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। আইপিএলের মেজাজে ব্যাট করলেন এই বাঁহাতি।
তৃতীয় উইকেটে রিয়ান পরাগের সঙ্গে জুটি বাঁধেন শ্রেয়স। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার দ্রুত রান তুলতে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার বোলারেরা তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারছিলেন না। দু’জনের মধ্যে ১৩২ রানের জুটি হল। পরাগ ৪২ বলে করেন ৬৭ রান। পাঁচ নম্বরে নামা আয়ুষ বদোনিও অর্ধশতরান করেছেন। অর্থাৎ, ভারতের প্রথম পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে দু’জন শতরান ও তিন জন অর্ধশতরান করেছেন।
বাদোনি ২৭ বলে ৫০ রান করে আউট হন। শ্রেয়স করেন ৮৩ বলে ১১০ রান। ১২টি চার ও চারটি ছক্কা মারেন তিনি। ব্যাটারদের দাপটে ওভার প্রতি ৮ রানের বেশি তোলে ভারত। প্রথম ইনিংসের পরেই বোঝা গিয়েছিল, এই ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া ‘এ’-র পক্ষে জেতা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন:
বাস্তবেও সেটাই দেখা গেল। জিততে হলে দ্রুত রান তোলা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। আর সেটা করতে গিয়েই একের পর এক উইকেট পড়ল তাদের। ওপেনার ম্যাকেঞ্জি হার্ভে ও অধিনায়ক উইল সাদারল্যান্ড অর্ধশতরান করেন। তবে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ছিল। শেষ পর্যন্ত ৩৩.১ ওভারে ২৪২ রান করে অল আউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া ‘এ’। ১৭১ রানে হারে তারা।
ব্যাটারদের পর ভারতের বোলারেরাও দাপট দেখিয়েছেন। নিশান্ত সিন্ধু নিয়েছেন ৪ উইকেট। রবি বিশ্নোইয়ের ঝুলিতে গিয়েছে ২ উইকেট। যুদ্ধবীর সিংহ, গুর্জপনীত সিংহ, সিমরজিৎ সিংহ ও বদোনি ১ করে উইকেট পেয়েছেন।