চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চারটি ম্যাচ খেলে ১০৪ রান করেছেন রোহিত শর্মা। ফর্মের বিচারে খুব একটা ভাল জায়গায় নেই বলে সমালোচনা শুনতে হচ্ছে। পাশাপাশি, লেগ স্পিনের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির দুর্বলতা নিয়েও কথা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওঠার পর দুই ক্রিকেটারের পাশে দাঁড়িয়ে যাবতীয় সমালোচনা উড়িয়ে দিলেন গৌতম গম্ভীর। ভারতীয় দলের কোচ ব্যাখ্যা করেছেন কেএল রাহুলকে খেলানোর কারণও।
গম্ভীর বলেছেন, “আপনারা রান বা পরিসংখ্যান দেখে রোহিতের বিচার করেন। আমরা ওর প্রভাবটা দেখি। এটাই পার্থক্য। দেখুন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল আসছে। তার আগে কী বলতে পারি? যদি আপনার দলের অধিনায়ক ও রকম আগ্রাসন নিয়ে ব্যাট করে তা হলে সাজঘরের জন্য সেটা খুব ভাল ইঙ্গিত। এটাই প্রমাণ করে আমরা সাহসী এবং ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে চাই। সাংবাদিকেরা শুধু সংখ্যা এবং গড় নিয়ে ভাবেন। দল হিসাবে আমরা ও দিকে তাকাই না। অধিনায়ক সবার আগে হাত তুলে দায়িত্ব নিতে চাইলে তার থেকে ভাল কিছু হয় না।”
মঙ্গলবার অ্যাডাম জ়াম্পার বলে ফিরে গিয়ে শতরান হাতছাড়া হয়েছে কোহলির। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ষষ্ঠ বার জ়াম্পার বলে ফিরলেন তিনি। লেগ স্পিনের বিরুদ্ধে এখনও কি দুর্বলতা রয়েছে কোহলির? প্রশ্ন শুনেই বিরক্ত হলেন গম্ভীর।
ভারতীয় কোচের সটান জবাব, “আপনি ৩০০টা ম্যাচ খেললে কয়েক বার তো স্পিনারের বলেও আউট হবেন। তাতে কোনও অসুবিধা নেই। ও এই প্রতিযোগিতায় শতরান করেছে। একটা ম্যাচে ৮০ রান করেছে। রান পেলে কোনও না কোনও বোলারের বলে আউট তো হতে হবেই। তাই লেগ স্পিনের বিরুদ্ধে কেন কোহলি আউট হয়েছে তা নিয়ে কাটাছেঁড়া করা অনর্থক। ৩০০টা এক দিনের ম্যাচ খেললে নির্দিষ্ট কিছু বোলারের বিরুদ্ধে আউট হতেই হবে।”
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রতিটি ম্যাচেই উইকেটকিপার হিসাবে খেলেছেন কেএল রাহুল। ঋষভ পন্থকে সাজঘরেই বসে থাকতে হচ্ছে। সিদ্ধান্তের পিছনে গম্ভীরের ব্যাখ্যা, “এক দিনের ক্রিকেটে কেএলের গড় ৫০-এর মতো। এটাই উত্তর। লোকে দল নির্বাচন নিয়ে কী বলছে পাত্তাই দিই না। আমার কাজ হল ১৪০ কোটি ভারতবাসী এবং সাজঘরে আমার ক্রিকেটারদের প্রতি সৎ থাকা। তাতে মানুষ কী বলল, কেন বলল তা নিয়ে ভাবি না।”
আরও পড়ুন:
টানা চারটি ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠলেও ভারত কোনও ম্যাচে নিখুঁত খেলেছে বলে বিশ্বাস করেন না গম্ভীর। তাঁর কথায়, “দেখুন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রোজ উন্নতি করতে হয়। আপনি কখনও বলতে পারেন না সব ঠিকঠাক আছে। প্রতিটা ম্যাচে উন্নতির জায়গা থাকে। সে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং যা-ই হোক না কেন। এখনও আমরা নিখুঁত ম্যাচ খেলতে পারিনি। এখনও একটা ম্যাচ বাকি। আশা করি সেটায় নিখুঁত খেলতে পারব। আমি এমন এক জন কোচ, যে কখনওই তৃপ্ত হয় না। প্রতি দিন উন্নতিই আমার কাছে শেষ কথা।”