সেঞ্চুরিয়নে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলার পথে লোকেশ রাহুল। ছবি: বিসিসিআই
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে যে পিচে বাকি ব্যাটারেরা ব্যর্থ সেখানেই ভাল ব্যাট করেছেন লোকেশ রাহুল। ভারতের ইনিংসকে একাই টেনেছেন তিনি। রাহুলকে সমস্যায় ফেলতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারেরা। আর সেটা করতে না পেরেই মেজাজ হারিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার মার্কো জানসেন। রাহুলের দিকে আঙুল উঁচিয়ে এগিয়ে যান তিনি। রাহুল জবাবও দিয়েছেন জানসেনকে।
ব্যাট করতে নেমে জানসেনের বল খেলতে কোনও সমস্যা হচ্ছিল না রাহুলের। কয়েকটি বড় শটও মারেন তিনি। তেমনই একটি শটের পরে মেজাজ হারান জানসেন। আঙুল উঁচিয়ে রাহুলের দিকে কয়েক পা এগিয়ে গিয়ে কিছু একটা বলেন তিনি। পাল্টা অবশ্য মুখে কিছু বলেননি রাহুল। খালি হেসেছেন। পরের বলেই আবার একটি চার মারেন তিনি।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরে বিরাট কোহলি ও শ্রেয়স আয়ার আউট হয়ে গেলে ভারতের ইনিংসকে সামলানোর দায়িত্ব পড়ে রাহুল ও শার্দূল ঠাকুরের উপর। রাহুল সাবলীল ব্যাট করছিলেন। মারার বল মারছিলেন। ছাড়ার বল ছাড়ছিলেন। শার্দূলও ইতিবাচক ব্যাট করছিলেন। বেশ কয়েকটি চার মেরে রাহুলের উপর থেকে চাপ কমান তিনি। তার মাঝেই এক বার হেলমেটে ও এক বার হাতে বল লাগে তাঁর। ফলে মনোযোগ কিছুটা নষ্ট হয়। তারই খেসারত দিতে হয় তাঁকে। ২৪ রান করে রাবাডার পঞ্চম শিকার হন তিনি।
চা বিরতির পরে যশপ্রীত বুমরাকে নিয়ে রান করার চেষ্টা করেন রাহুল। হাতে উইকেট কম থাকায় একটি আক্রমণাত্মক খেলতে দেখা যায় তাঁকে। বার্গারকে পর পর দু’বলে চার ও ছক্কা মেরে নিজের অর্ধশতরান করেন তিনি। বুমরাও আউট হয়ে যান। রাহুল জানতেন যা রান করার তাঁকেই করতে হবে। ওভারের প্রায় সব ক’টি বল খেলার চেষ্টা করছিলেন তিনি। মহম্মদ সিরাজকে যতটা সম্ভব ঢাকার চেষ্টা করছিলেন।
৫৯ ওভারের পরে বৃষ্টি নামে। আকাশ কালো হয়ে যায়। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে বৃষ্টি থামলেও খেলা শুরু করা যেত না। সেই কারণে আম্পায়ারেরা সিদ্ধান্ত নেন যে প্রথম দিন আর খেলা হবে না। দিনের শেষ ৭০ রানে অপরাজিত রয়েছেন রাহুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy