সতীর্থ রবীন্দ্র জাডেজার (ডান দিকে) সঙ্গে রোহিত শর্মা। ছবি: পিটিআই।
মাথা খাটিয়েছেন রোহিত শর্মা। মগজাস্ত্রের খেলায় হারিয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক বেন স্টোকসকে। সেই ‘চাল’ রাঁচীতে ভারতের জয়ের অন্যতম কারণ। ঠিক কী করেছেন রোহিত?
টেস্টে সাধারণত যে দল ব্যাট করে সেই দল ঠিক করে পিচে কোন ধরনের রোলার নেবে। প্রতিটি ইনিংসের বিরতিতে সেই রোলার নেওয়া হয়। সাধারণত দু’ধরনের রোলার থাকে। ভারী ও হালকা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার আগে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক স্টোকস ভারী রোলার নেন। রাঁচীর উইকেটে শুরু থেকেই ফাটল ছিল। ফলে বল ঘুরছিল। নিচু হচ্ছিল। খেলতে সমস্যা হচ্ছিল ব্যাটারদের। স্টোকস হয়তো ভেবেছিলেন, ভারী রোলার নিলে পিচ কিছুটা বসে যাবে। তাতে ব্যাটারদের শট খেলতে সুবিধা হবে। কিন্তু আদতে তার উল্টো ঘটনা ঘটে। ফাটল আরও বেড়ে যায়। তাতে ব্যাটারদের খেলতে আরও সমস্যা হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের তিন স্পিনারের দাপটে মাত্র ১৪৫ রানে অল আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড।
ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের আগে হালকা রোলার নেন রোহিত। তাতে পিচের ফাটল আর বেশি বাড়েনি। উল্টে পিচ ব্যাট করার পক্ষে ভাল হয়ে যায়। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই সেটা পরিষ্কার। ৪২ রান করেন রোহিত ও যশস্বী জয়সওয়াল। শট খেলতে সমস্যা হয়নি তাঁদের। চতুর্থ দিনের শুরুতেও একই জিনিস করেন রোহিত। হালকা রোলার নেন। তার ফলে চতুর্থ দিনের শুরুতেও ব্যাট করতে সমস্যা হচ্ছিল না ভারতের। দ্রুত রান উঠছিল। কিন্তু প্রথম ঘণ্টার পরে পিচ আবার ভাঙতে শুরু করে। তার ফলে আবার বল ঘুরতে শুরু করে। তাতে সমস্যায় পড়েন ব্যাটারেরা।
তবে তত ক্ষণে ভারতের রান অনেকটা হয়ে গিয়েছে। জয়ের জন্য মাত্র ৭২ রান দরকার ছিল। ধ্রুব জুরেল ও শুভমন গিল সেই রান তুলে নেন। ভারতের জয়ের নেপথ্যে রোহিতের রোলার নেওয়ার চালাকি রয়েছে। এর থেকেই প্রমাণিত, তিনি স্টোকসের থেকে পিচের চরিত্র ভাল বুঝেছিলেন। সেই কারণেই স্টোকসকে টেক্কা দিতে পেরেছেন রোহিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy