মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
হার্দিক পাণ্ড্য চোট পাওয়ায় বিশ্বকাপে প্রথম একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন মহম্মদ শামি। মাত্র সাতটি ম্যাচ খেলে ২৪টি উইকেট তুলে নেন। ফাইনাল ছাড়া প্রতি ম্যাচেই ভয়ঙ্কর দেখিয়েছে তাঁকে। কিন্তু আট বছর আগে শামিকে চিকিৎসক বলেছিলেন যে, খেলার কথা ভুলে যেতে।
২০১৫ সালে শামির হাঁটুতে সমস্যা হয়। অস্ত্রোপচার করা হয়। শামি সেই সময় তাঁর লড়াই করে ফিরে আসার কথা জানিয়েছেন। শামি বলেন, “আমি ব্যথা সহ্য করতে পারি। ২০১৫ সালে আমার হাঁটুর অবস্থা ভাল ছিল না। দুটো বিকল্প ছিল আমার কাছে। এক প্রতিযোগিতা ছেড়ে হাঁটুর অস্ত্রোপচার করাতে যাওয়া। দুই, ইনজেকশন নিয়ে খেলে প্রতিযোগিতার পর অস্ত্রোপচার করানো। আমি দ্বিতীয়টা বেছে নিয়েছিলাম। খেলার পর সতীর্থেরা হোটেলে যেত আর আমি হাসপাতালে। দেশের খেলার থেকে বড় কিছু হতেই পারে না। অস্ত্রোপচারের পর দু’ঘণ্টা আমার জ্ঞান ছিল না। জ্ঞান ফিরতে চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, কবে থেকে আবার খেলতে পারব? তিনি বলেছিলেন, “খেলা ভুলে যাও, তুমি যদি মোটামুটি ঠিকঠাক হাঁটতে পারো সেটাই বড় ব্যাপার হবে।”
২০১৮ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন শামি। দেহরাদূন থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে তাঁর গাড়িতে একটি ট্রাক ধাক্কা মেরেছিল। মাথায় চোট লেগেছিল শামির। তার কিছু দিন আগেই শামির বিরুদ্ধে হাসিন জাহান কলকাতায় বধূনির্যাতনের মামলা করেছিলেন। শামি বলেন, “বুঝতেই পারছিলাম না কী করে দুর্ঘটনা ঘটল। সেই সময় আমার জ়েড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা ছিল। আমার গাড়ির সামনে দুটো, পিছনে দুটো গাড়ি থাকত। তার মধ্যে থেকে আমার গাড়িতেই ধাক্কা লাগল। দেহরাদূন ফিরে গিয়েছিলাম। সুস্থ হওয়ার পর সেখানে অনুশীলন শুরু করি। খুব কঠিন সময় ছিল, কিন্তু আমি পালিয়ে যাইনি।”
সুস্থ হয়ে মাঠে ফেরেন শামি। ২০১৯ সালে বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন। এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম চারটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি শামি। তিনি খেলেছেন মোট ৭টি ম্যাচ। তাতেই প্রতিপক্ষের মোট ৭০টি উইকেটের মধ্যে ২৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ ৩৮.৩৩ শতাংশ উইকেট একাই নিয়েছেন বাংলার জোরে বোলার। শামিই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy