সাজঘরে রোহিত শর্মা থামছিলেন না। সারা ক্ষণ কিছু একটা বলছিলেন। তাঁর কথা শুনে হাসি থামাতে পারেননি গৌতম গম্ভীরও। বাকিরাও যোগ দেন আড্ডায়। এক দিনের দলের নতুন অধিনায়ক শুভমন গিলের সঙ্গেও আড্ডা মারেন রোহিত।
পার্থে বৃষ্টিতে বার বার বন্ধ হচ্ছিল খেলা। দ্বিতীয় বার বেশ কিছু ক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। তত ক্ষণে শুভমন ও রোহিত দু’জনেই আউট হয়ে ফিরে গিয়েছেন। দেখা যায়, সাজঘরে একটি বড় পপকর্নের বাকেট নিয়ে বসে রয়েছেন শুভমন। পাশেই বসেছিলেন রোহিত। দু’জনে আড্ডা মারছিলেন। হয়তো অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা হচ্ছিল তাঁদের। শুভমন আগেই জানিয়েছিলেন, রোহিতের অভিজ্ঞতা তাঁর কাজে লাগবে। সেই অভিজ্ঞতাই হয়তো উত্তরসূরির সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছিলেন পূর্বসূরি রোহিত।
তার পরে দেখা যায়, নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে গম্ভীরদের কাছে এসে দাঁড়িয়েছেন রোহিত। গম্ভীরের পাশে বসেছিলেন ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাক। আরও এক সাপোর্ট স্টাফ দাঁড়িয়েছিলেন সেখানে। তাঁদের সামনে হাতের অঙ্গভঙ্গিতে কিছু একটা বোঝাচ্ছিলেন রোহিত। তিনি কী বলছিলেন, তা বোঝা না গেলেও মজার কিছুই যে বলছিলেন, তা বাকিদের দেখে বোঝা যাচ্ছিল। গম্ভীর সাধারণত গম্ভীরই থাকেন। তিনিও হাসতে থাকেন। প্রথম চেয়ারে বসে মুখ ঘুরিয়ে রোহিতের কথা শুনছিলেন অধিনায়ক। কিছু ক্ষণ পরে চেয়ার রোহিতের দিকেই ঘুরিয়ে বসেন তিনি।
আরও পড়ুন:
বৃষ্টি প্রায় থেমে গেলেও রোহিতের কথা থামছিল না। কিছু ক্ষণ পরে আবার শুভমন সেখানে আসেন। রোহিতের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন তিনি। কী নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল তা বোঝা না গেলেও আলোচনা থামছিল না। তা হয়েই চলেছিল। তবে সেই আলোচনায় কোহলিকে এক বারও দেখা যায়নি।
রোহিতের থেকেই এক দিনের দলের অধিনায়কত্ব গিয়েছে শুভমনের হাতে। শোনা যায়, রোহিতের অধিনায়কত্ব যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছেন কোচ গম্ভীর ও নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর। ২০২৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপ খেলতে চান রোহিত। তবে তাতেও সংশয় রয়েছে। তার নেপথ্যেও গম্ভীর, আগরকরকে দায়ী করেন অনেকে। যদিও রোহিতকে দেখে আপাতত সে সব কিছু বোঝা যাচ্ছে না। ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন তিনি। একাই সাজঘর মাতিয়ে দিচ্ছেন তিনি। হাসাচ্ছেন গম্ভীরকেও।